বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ২১:০৭

বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মতবিনিময়

কামরুজ্জামান টুটুল, ব্যুরো ইনচার্জ, হাজীগঞ্জ
বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মতবিনিময়

চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিকের একটি সংবাদ নিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। মূলত: প্রকাশিত সংবাটিকে যে সকল তথ্য উঠিয়ে আনা হয়েছে তা মনগড়া ছাড়া আর কিছুনা বলে দাবি করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। রোববার দুপুরে পৌর হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় পৌরসভার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন। এ সময় পৌর সম্পত্তি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন কর নির্ধারক আবু ইফসুফ, প্যানেল মেয়র জাহিদুল আজহার, পৌর কাউন্সিলর মহসিন ফারুক বাদল। এ সময় পৌর সকল ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণসহ সংরক্ষিত সকল নারী কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। সভার সঞ্চালনা করেন পৌর সচিব নূর আজম শরীফ।

মতবিনিময় সভায় পৌর মেয়র আ. স. ম. মাহবুব উল আলম লিপন বলেন, হাজীগঞ্জ বাজার অভ্যন্তরে পৌরসভার নিজস্ব সম্পতিতে জমে থাকা ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করেছে। সেই ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করাকে কেন্দ্র আর একটি পক্ষ ঐ সম্মতি তাদের তথা মসজিদের দাবি করে চাঁদপুরের বিভিন্ন সংবাদেপত্রে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মনগড়া আর বানোয়াট। আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হকার্স মার্কেটের ঐ সম্পত্তিতে বেলা আড়াইটার সময় কাজ শুরু করি। কিন্তু আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা রাতের আধারে কাজ করেছি। যে অংশে কাজ হয়েছে সেই এলাকার ব্যবসায়ীরা জানে, আমরা দিনের বেলায় কাজ শুরু করেছি। একটি পক্ষ পৌরসভার নিজস্ব সম্পতিকে তাদের সম্পত্তি বলে দাবি করছে। তারা বলেছে তাদের সম্পত্তি ২০০৪ সালে রেজিষ্ট্রি হয়েছে অথচ ঐ স্থানে পৌরসভার ময়লার দুটি টাঙ্কি ১৯৯৮ সালে স্থাপন করেছে পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান তথা সর্বজন শ্রদ্ধেয় এডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তাফাজ্জল হায়দার নসু চৌধুরী। সেদিন বেলা আড়াইটা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত আমাদেরকে এক টানা ময়লা পরিস্কার করতে হয়েছে। এ সময় আমরা ১২৪ ট্রাক ময়লা অপসারণ করেছি। সেদিন আপনার ৭/৮ জন ছেলে যে আচরণ করেছে তা ঠিক না।

সম্পত্তির দাবিদার ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে পৌর মেয়র আ. স. ম. মাহবুব উল আলম লিপন আরো বলেন, যে সম্পত্তি নিয়ে নিয়ে আমাকে হেয় করা হচ্ছে সেই সম্পত্তি আমার ব্যক্তিগত নয়। এটি পৌরসভার সম্পত্তি তথা সোয়া লাখ পৌরবাসীর সম্পতি। পাবলিক সেন্টিমেন্ট্র গ্রো করার মসজিদের নাম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা আমাদের সম্পত্তিতে রয়েছি।

মেয়র লিপন আরো বলেন, আপনি বলছেন সমন্ময় করতে। কিসের সমন্ময় করবো। জায়গা হলো পৌরসভার আপনার সাথে কিসের সমন্ময় করবো। আপনার তো এখানে কিছু নেই। আপনি ভূলে যাবেন না, হাজীগঞ্জ মডেল কলেজে ৯৯ শতাংশ জমি আমার পরিবার দান করেছে। সেদিন কলেজের স্বার্থে আমরা আপনার সাথে আপোষ করেছি। এ জন্য আপনি আমাদেরকে বলেছেন কলেজে ক্যাম্পাসে একটি লাইব্রেরী পৌর পরিষদের ঐ কার্যকাল মেয়াদের সদস্যদের নামের তালিকা একটি বোর্ডে সংরক্ষন করবেন। সেদিন ও আপনি পৌর পরিষদের সাথে কথা রাখেননি।

এ সময় পৌর প্যানেল মেয়র মো: জাহিদুর আজহার বলেন, মসজিদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা কথা বলবেন না। হাজীগঞ্জে কারা ভূমিদস্যু তা হাজীগঞ্জের সবাই জানে। মিথ্যে কথা ছড়িয়ে বাহবা নিতে পারবেন না । আমরা যেখান থেকে ময়লা অপসারন করেছি তার পাশে পৌরসভার আরো ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী রয়েছে। ঐ সকল ব্যবসায়ীরা ময়লার গন্ধে ব্যবসা করতে পারেনা। পৌরসভার পক্ষে ভাড়া জন্য গেলেই ময়লার গন্ধের অজুহাতে ভাড়া পরিশোধ করছেন না ব্যাবসায়ীরা।

হাজীগঞ্জ পৌর পরিষদের কর নির্ধারক আবু ইউসুফ পৌরসভার সকল মামলার দেখা শুনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ঐ জায়গা নিয়ে পৌরসভার সাথে মামলা চলে সরকারের। বরং আমরা দাগ সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি। সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চুর সাহেবের কার্যকালে আমরা ৩০ ধারার মামলার রায় পেয়েছি। বড় মসজিদ কর্তৃপক্ষে সাথে আমাদের কোন মামলা নেই। তারা গায়ে পড়ে এটা করছে। ১৩৮ এর অন্দরে পৌরসভার সম্পত্তি। কেউ যদি ১৩৮ এর অন্দরে জমি ক্রয় দেখিয়ে পৌরসভার জমি নিজেদের জমি বলে দাবী করে তাহলে আমরা আইনগতভাবেই লড়বো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়