শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে ইব্রাহীম জুয়েলের অব্যাহতিতে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা

স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে ইব্রাহীম জুয়েলের অব্যাহতিতে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম কাজী জুয়েলকে তার পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি পত্র পেয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজ ফেসবুক প্রোপ্রাইল “কধুর ওনৎধযরস ঔববিষ” নামক একাউন্টে আবেগঘণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এই স্ট্যাটাসের শিরোনাম ছিলো ‘আসামীরা মুক্তি পাইলো, আর সাক্ষীর সাজা হলো এবং মনুষ্যত্বের বড়ই অভাব’। এই দুটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, চলমান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে, হরতাল পিকেটিং করতে গিয়ে যখন পুলিশের হামলায় পায়ে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেই অবস্থায় থেকেও দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নানা কারণে নির্যাতিত, আহত, জেলে থাকা নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর, ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতা এবং পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ঠিক সেই মুহূর্তে আমার প্রতি এমন অমানবিক আচরণে আমি বিব্রত। তিনি আরো বলেন, আমি অর্ধশতাধিক মামলার আসামি, অধিকাংশ মামলার ১নং আসামি। এতোগুলো মামলার হুলিয়া নিয়ে ক্রসফায়ারের মুখোমুখি অবস্থান থেকে বেঁচে আসা আমি। আমি মনে করি দল আমার সাথে বেঈমানি করেনি, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী একটি চক্র তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ সাময়িকভাবে লাভ করলেও আমার জন্যে হয়তো এর চেয়ে আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। তিনি বর্তমান ফ্যাসিবাদ সরকারের চলমান নিপীড়ন নির্যাতন ধৈর্য্য সহকারে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। এদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম কাজী জুয়েলের এই স্ট্যাটাসের নিচে দলের শত শত নেতা-কর্মীর মন্তব্যে চরম দুঃসময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হঠকারী সিদ্ধান্তের তারা তীব্র নিন্দা জানান। শুধু তাই নয়, তাঁর মতো একজন নেতাকে যিনি ছাত্র জীবন থেকে এই দলের রাজনীতি করে আজ পর্যন্ত সকল চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজো দলকে বুকে জড়িয়ে আছেন, এমন নেতার বিরুদ্ধে দলের কোনো নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে এমন সিদ্ধান্তের কারণে হতাশাজনক মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, পারিবারিকভাবে ইব্রাহিম কাজী জুয়েলের পরিবারের সকল সদস্য পদণ্ডপদবিসহ এ দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি স্কুল জীবনেই ছাত্রদলের তৃণমূল থেকে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের শহিদ জিয়া হল শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক থেকে চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবের দায়িত্বে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১/১১ সময়ে সর্বপ্রথম ইব্রাহিম কাজী জুয়েলের নেতৃত্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে নিজস্ব অফিস থেকে তৎকালীন মাঠে অবস্থানরত সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ওপেন টেলিকনফারেন্স করেন। যা দেশের সকল টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় লিড নিউজ আকারে প্রচারিত হয়। তিনি ১/১১-এর প্রেক্ষাপটে যখন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা দলের পরিচয় দিতে দ্বিধাবোধ করতো, ঠিক তখন তিনি গুটিকয়েক নেতা-কর্মী ও চাঁদপুরের মিডিয়ার সহযোগিতায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হয়েও বিএনপিসহ সকল অঙ্গ-সংগঠনের কর্মসূচি পালনসহ তৃণমূল নেতা-কর্মীর পাশে ছিলেন। তিনি সকল নেতা-কর্মীকে ধৈর্য ধারণ করে একটু সাহস নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং একটু ঘুরে দাঁড়ালেই জিতবে বাংলাদেশ, ফিরে আসবে গণতন্ত্র, অর্জন হবে ভোটের অধিকার ইনশাআল্লাহ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়