প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরস্থ পুরাণবাজার দাসপাড়া সার্বজনীন শিব মন্দির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ।
গতকাল ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে তিনি এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধক তমাল কুমার ঘোষ মন্দির নির্মাণ কমিটির সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, দাসপাড়ার যুব সম্প্রদায় মন্দির নির্মাণে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। এসব ভালো কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত রয়েছেন, পরম ঈশ্বর সকল সময়ই তাদের সহায় থাকেন। তিনি আরো বলেন, মন্দির আমাদের পবিত্র স্থান, এখানে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভে পূজা-অর্চনা করা হয়ে থাকে। এই পূজা অর্চনা বা প্রার্থনা করতে গিয়ে আমরা যেন কেউ সাম্প্রদায়িক না হই, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে আমার দ্বারা কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, শিব জ্ঞানে জীব সেবা, অর্থাৎ দুঃস্থ অসহায় মানুষকে সেবা কর। মানুষের মাঝেই ঈশ্বর বিদ্যমান। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, কোনো কিছুর বিনিময়ে আমরা যেন সাম্প্রদায়িক না হই।
উদ্বোধনকালীন আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কার্তিক সরকার, সদস্য মানিক ঘোষ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, চাঁদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সহ-সভাপতি ডাঃ পীযুষ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, পুরাণবাজার রাধা মুরারী মোহন জিউড় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সহদেব বর্মন, নির্মাণাধীন শিব মন্দির কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক রাজীব চন্দ্র দে, সদস্য লিটন চন্দ্র সাহা, শনিরাম দাস, প্রদীপ দাস, বিকাশ দাস, ক্ষুদিরাম দাস, শ্যামসুন্দর দাসসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। মন্দির নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল বয়সী নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
শিব মন্দির কমিটির সভাপতি উত্তম দে জানান, দেবাদি দেব মহাদেবের আরেক নাম হলো ভগবান শিব। চাঁদপুর জেলায় ভগবান শিবের তেমন কোনো বড় মন্দির নেই। তাই এলাকার যুব সমাজসহ সকল বয়সের মানুষ একত্রিত হয়েছে একটি সুন্দর অত্যাধুনিক শিব মন্দির নির্মাণের। আমরা আশা ও বিশ্বাস রাখি, নির্মাণাধীন শিব মন্দিরটি জেলার শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্যমণ্ডিত শিব মন্দির হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। মন্দির নির্মাণে তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।