গত ১৬ নভেম্বর আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’-এর জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত (পুনঃ) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরে এই সতর্ক সংকেত ৭ পর্যন্ত উঠে। গতকাল বিকেলের পর আবার ৩ নম্বর সংকেত দেয়া হয়।

১৬ নভেম্বর রাত ১০টায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল জুম সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় যুক্ত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অংশীজন।

সভার জরুরি নির্দেশনাসমূহ ছিল : মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা, সকল উপজেলায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো ও মাইকিং করা, চরাঞ্চলের মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে সমস্যা হলে পুলিশি সহায়তা নেয়া, স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রাখা, সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা অব্যাহত রাখাসহ দুর্যোগ পূর্ব, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় জানানো হয়, জেলার ৩৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং একটি মুজিব কেল্লা রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় এবং জ্বলোচ্ছ্বাস যদি আঘাত হানে তখন জরুরি ত্রাণ সহায়তাসহ দুর্গত এলাকায় অন্যান্য সেবা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক হাইমচর, চাঁদপুর সদর ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।