শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ার শ্রীরামপুর মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হাসানের বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির জমিদাতা মৌলভী ইদ্রিস বকাউলের বড় ছেলে মিজানুর রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমানের বাবা মৌলভী ইদ্রিস বকাউল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠায় ৯৬ শতাংশ জমি দান করেন। মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কামণ্ডকম্পিউটার অপারেটর, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে জমিদাতা মিজানুর রহমানের স্ত্রী ছালমা আক্তার অফিস সহকারী কামণ্ডকম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদন করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নাছির উদ্দিন ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য হিসেবে ছালমা আক্তারকে উক্ত পদে নিয়োগ দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। গত ১০ নভেম্বরের নিয়োগ পরীক্ষায় সভাপতি জমিদাতার পরিবারের সদস্য ছালমা আক্তারকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য আরেকজনকে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করেন।

সরজমিনে গেলে স্থানীয় অধিবাসী কচুয়া উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুর রহমান জানান, এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে আমি জড়িত আছি। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার জন্য মৌলভী ইদ্রিস বকাউল ৯৬ শতাংশ সম্পত্তি দান করে গেছেন। তার পরিবারের সদস্যদের জন্য আর কোনো সম্পত্তি রেখে যাননি তিনি। তারা বর্তমানে অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। আমরা এলাকাবাসী ওই সময় মৌলভী সাহেবকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এই প্রতিষ্ঠানে তাদের পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি দেয়া হবে। কিন্তু বর্তমান সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিন আমাকে ও এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন জমিদাতার বড় ছেলের স্ত্রী ছালমা আক্তারকে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেয়া হবে। এখন শুনছি অন্যজনকে নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। আজ বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মাদ্রাসার মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও সভাপতি নাছির উদ্দিন উপস্থিত হননি। কম্পিউটার অপারেটর পদে ছালমা আক্তারকে নিয়োগ দিতে পারলে জমিদাতা মৌলভী ইদ্রিস বকাউলকে দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে দায়মুক্ত হতে পারতাম। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে ছালমা আক্তারকে নিয়োগ দেয়ার জন্যে মাদ্রাসার সুপারের মাধ্যমে সভাপতি নাছির উদ্দিনকে অনুরোধ জানান।

মাদ্রাসার সুপার নূরুল আলম মজুমদার জানান, কম্পিউটার অপারেটর পদে জমিদাতা পরিবারের সদস্য ছালমা আক্তারকে নিয়োগের ব্যাপারে এলাকাবাসীর আবেদনটি সভাপতিকে অবগত করবো।

মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিন প্রধান বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় ৮ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে যোগ্যতানুসারে যে প্রথম হয়েছে নিয়োগ কমিটি তাকে নিয়োগ দিয়েছে। আমি কোনোপ্রকার অনিয়মের সাথে জড়িত নই। জমিদাতা পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধের বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারের মাধ্যমে শুনেছি। ভবিষ্যতে কোনো পদে নিয়োগ থাকলে জমিদাতা পরিবারের সদস্য হিসেবে তাদেরকে বিশেষ বিবেচনা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়