চাঁদপুর জেলা বাস-মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি বড়স্টেশন লঞ্চঘাটে থাকা সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা নৌপুলিশের সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে বরিশাল থেকে বাবুল মিজির নিকটাত্মীয় চাঁদপুরে বেড়াতে আসেন। এমন খবর পেয়ে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বড়স্টেশন লঞ্চঘাটে যান তিনি। এ সময় তিনি যে সিএনজি অটোরিকশা করে সেখানে গিয়েছেন সেটিকে লঞ্চঘাটের মাঠে নিয়ে যেতে চাইলে ঈদকে কেন্দ্র করে বড়স্টেশন লঞ্চঘাটে যাত্রীদের নির্বিঘেœ যাতায়াতে শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিউটিরত নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা সাফ জানিয়ে দেন, সিএনজি অটোরিকশা ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে না। এ কথা শুনে বাবুল মিজি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

এ সময় কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক বাবুল মিজিকে বহনকারী সিএনজিটি বিদায় করার অনুরোধ করলে তিনি সিএনজি চালকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে কিল-ঘুষি দেন। এ সময় সিএনজি চালক আমিন পাটোয়ারী পাল্টা কিল ঘুষি দেন এবং গায়ের পাঞ্জাবি টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে থাকা নৌপুলিশের সদস্যরা বাবুল মিজি ও সিএনজি চালক আমিন পাটোয়ারীকে আটক করে নৌ থানায় নিয়ে যান।

এ খবর শুনে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী ওমর ফারুক তাৎক্ষণিক নৌ পুলিশ চাঁদপুর থানায় যান। সেখানে গিয়ে প্রথমে কাজী ওমর ফারুক তার নিজের পাঞ্জাবি খুলে বাবুল মিজিকে পরিয়ে দেন। এরপর নৌ পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টরের উপস্থিতিতে কাজী ফারুক ও বাবুল মিজিসহ প্রায় ঘণ্টাখানেক সমঝোতা বৈঠক করেন। আটক উভয়ের মধ্যে সমঝোতা শেষে কাজী ফারুক আটক দুজনকে নৌ থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে ডিউটিরত নৌ পুলিশের হাবিলদার আবদুল আলীম বলেন, একজন শ্রমিক নেতা হিসেবে বাবুল মিজি যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন তা সত্যি দুঃখজনক। তিনি শুধু সিএনজি চালকদের সাথে খারাপ আচরণ করেননি, তিনি ডিউটিরত নৌ পুলিশ সদস্যদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাকি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। এর বাইরে কিছু জানি না।

এ বিষয়ে বাবুল মিজি বলেন, আমরা উভয়ই পূর্ব পরিচিত, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। সেটি সমাধান হয়েছে।

পাঞ্জাবী ছেঁড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাঞ্জাবিটি একেবারেই পাতলা কাপড়ের, আমি নিজেই এটি শরীর থেকে ফেলে দিয়েছি। অন্য কেউ ছিঁড়ে ফেলার প্রশ্নই উঠে না।

সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, আমরা একই পরিবারের সদস্য, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।