প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান
চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে (১৩ অক্টোবর-৩ নভেম্বর) ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪’ বাস্তবায়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ অক্টোবর বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনের কক্ষে এ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার ফজলুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, নৌ-পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা (রেজিঃ) মনিরুল ইসলাম, মৎস্যজীবী নেতা তছলিম বেপারী প্রমুখ। সভার শুরুতে চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এবারের অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে এবং আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করবো। অভিযান চলাকালে কোনো জেলেকে নদীতে নামতে দিবো না। যদি কেউ আইন অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এই সময়টাতে যতোগুলো বরফ কল আছে তা বন্ধ থাকবে। লোকাল যে বাজারগুলোতে অবৈধ ইলিশ বিক্রি হয় সে বাজারগুলো আমরা মনিটরিং করবো। শুধুমাত্র বিক্রেতা নয়, রাস্তায় যদি ক্রেতাদের কাছ থেকেও ইলিশ পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। টাস্কফোর্সের সাথে সাথে সেনাবাহিনী টিমও অবৈধভাবে ইলিশ বিক্রির ঘাটগুলোতে যেনো যায় সেজন্যে অনুরোধ করবো। ২৪ ঘণ্টাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, কোনো জেলে, কোনো দুষ্কৃতকারীরা প্রশাসনকে তুচ্ছ করবে তা সম্ভব নয়। যদি করে তাহলে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। জনপ্রতিনিধিরা বা অন্য কেউ সহায়তা করুক বা না করুক, আমরা সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করবো। যে সকল নদীর শাখা মুখ রয়েছে, সেসব স্থানে কঠোর নজরদারি করতে হবে।
বালুমহাল বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের কোনো বৈধ বালুমহাল নেই। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। যদি কেউ বালু উঠাতে যায় তারা অবৈধ, আর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থাকবো। কোনোভাবেই নদীতে ড্রেজার চলবে না।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, দাদন ব্যবসায়ী, বরফ কল ব্যবসায়ী, মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে একটু মতবিনিময় করার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও জেলেদের সাথে মতবিনিময় করবো। অভিযানকালীন চারটি জেলার সমন্বয়ে কাজ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে।
পুলিশ সুপার ও নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে এবার ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪’ বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জানান।
উপজেলাভিত্তিক সচেতনতামূলক সভা-সেমিনার করার জন্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়।