প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
হঠাৎ করেই কেমন লাগছে বলে ঘরে থাকা টেস্টি স্যালাইন খেলো। কিন্তু ভালো লাগছে না, বুক ব্যথা করছে বলে মাটিতে গড়াতে শুরু করলো বৃদ্ধ দাদীর সামনেই। আশপাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে দ্রুত হাসপাতালে রওনা দেয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হলো নাঈম (১৩) নামের শিশুটির। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের মানুরী গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি সৌদি প্রবাসী শাহআলমের ছোট ছেলে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আনলেও পারিবারিক আবেদনের প্রেক্ষিতে ও সম্মতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ময়না তদন্ত ছাড়া শিশুটিকে দাফনের আদেশ দেন। এভাবেই বর্ণনা দিলো হতভাগ্য শিশুটির চাচা মাহবুব আলম। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, মানুরী গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহআলমের দুই ছেলের মধ্যে নাঈম এতিমখানায় পড়ালেখা করতো। এক বছর পূর্বে মা আকলিমা আক্তার তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বিদায় নেয়ায় বাড়িতে আসলে নাঈম বৃদ্ধ দাদীর কাছেই থাকতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই নাঈম বুকে ব্যথাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে কাতরাতে থাকলে আশপাশের লোকজন তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সে মৃত্যুবরণ করে।
শিশুর চাচা মাহবুব আলম জানান, তিনিও এলাকার বাইরে থাকেন কর্মের খাতিরে। নাঈমের পিতা প্রবাসে থাকেন। এক বছর পূর্বে তার মা আকলিমা আক্তার তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বিদায় নেয়। নাঈম একটি এতিমখানায় থাকে। বাড়িতে শিশুটির দাদী তথা আমার মা ছাড়া কেউ থাকে না। মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি বাড়ি আসি। পরে আমার প্রবাসী ভাই তথা নাঈমের পিতার সম্মতিতে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আঃ মান্নান জানান, শিশুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়।