প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
দেনার দায়ে ও কাজ না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আরিফুল ইসলাম খান আত্মহত্যা করেছেন। ৫ লাখ টাকা দেনা করে গত রমজানে তিনি সৌদি আরব যান। আরিফুল গত মঙ্গলবার বিকেলে সৌদি আরবের জেদ্দায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটান।
আরিফ হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর খান বাড়ির সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। এ ঘটনায় পুরো পরিবার দেনার দায়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে নিহতের স্ত্রী আর অবুঝ দুই শিশুর ভবিষ্যৎ পুরোপুরি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত রমজান মাসে আরিফ পুরো ৫ লাখ টাকা দেনা করে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবের দাম্মাম এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে কাজ না পেয়ে আর সারাক্ষণ বাসায় থেকে দিন পার করছিলেন তিনি। রুমে থেকে বাড়িতে মা-বাবা, স্ত্রী আর অবুঝ দুই সন্তান নুহা (৫) ও নুসাবা (৩)-এর ভবিষ্যৎ আর দেনা পরিশোধ করা নিয়ে হতাশায় ভুগতে শুরু করেন। একদিকে কাজ নেই, অপর দিকে দেনার দায় মাথার ওপর আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখে পুরোই ভেঙ্গে পড়েন তিনি। গত কয়েক দিন পূর্বে তিনি রুমে অসুস্থ হয়ে পড়েন, কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পর্যন্ত যেতে পারেননি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তার হতাশার কথা জানিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
এদিকে আরিফের মারা যাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিক এলাকার মানুষজন জেনে যায়। এরপরেই নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরিফের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বুধবার দুপুরের কিছু পর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সন্তানদের খোঁজখরব নিয়ে স্ত্রী আর বাবা-মাকে সান্ত¡না দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম। তিনি ব্যক্তিগত সহায়তা দিয়ে শিশুদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয়াসহ নিহতের স্ত্রীকে সরকারি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন উপস্থিত ছিলেন।