প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ।
তিনি বলেন, বিগত বছরের তথ্য দেখে আমি লক্ষ্য করলাম, করোনাকালে আমাদের টার্গেট মতো এ ধরনের ক্যাম্পেইন সফল হয়েছে। এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আমাদের সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। বেশি করে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকরা অভিভাবকদের এ বিষয়ে ম্যাসেজ দিতে পারেন। একই সাথে পত্রিকায় লেখা আকারে বিজ্ঞাপন এবং মসজিদ ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে অতীতে যেভাবে আমরা একসাথে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে এসেছি, এবারও যেনো ঠিক সেই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে পারি সেদিকে সকলে খেয়াল রাখবেন। মানবসেবার মনোভাব আমাদের সবার মধ্যে থাকতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারও ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেনের সভাপ্রধানে এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, চাঁদপুর জেলা বিএমএ সভাপতি ডাঃ সৈয়দ মোঃ নূরুল হুদা, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন, জেলা সমাজসেবার সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহমেদ খানসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় জানানো হয়, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব দূর করতে এবং শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৮শ’ ৮৫ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৬শ’ ৫৮ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী মোট ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯শ’ ৮৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলার মোট ২২৩৫টি কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন সঠিক তদারকির জন্যে ৫০৫ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল (১০০০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল (২০০০০০ আইইউ) খাওয়ানো হবে।