প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
এক কিলোমিটার পাকা সড়কের অভাবে পুরো ৭ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয় প্রায় ১০ গ্রামবাসীকে। ইটের সলিং করা ১ কিলোমিটার সড়ক ভাঙ্গা হওয়ার কারণে জনসাধারণ ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে না। ইটের সলিংয়ের এ অংশ চলাচল অনুপযোগী হওয়ার কারণে উপজেলা শহর থেকে এলাকায় যেতে হলে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয় ১০ গ্রামবাসীকে। সড়কটি হাজীগঞ্জ পৌরসভার মনিনাগ গ্রামের শেষ মাথা থেকে শুরু হয়ে নাটেহরা গ্রাম হয়ে ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে গেছে। প্রায় ১ কিলোমটার বাদে বাকি সড়কের পুরোটাই পাকাকরণ করা হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ বাজার থেকে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সামনে দিয়ে রান্ধুনীমুড়া ও মনিনাগ গ্রাম হয়ে নাটেহরা গ্রামে ঢুকেছে সড়কটি। মনিনাগ গ্রামের শেষ মাথায় ব্রীজ করা হয়েছে। উক্ত ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে শুরু করে নাটেহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ইটের সলিং রয়েছে। সলিংয়ের এই অংশটি পুরানো হয়ে যাওয়ায় বহু স্থানে ইট উঠে গেছে, ক্ষয়ে গেছে, গর্ত হয়ে গেছে, এমনকি সড়কের পাশের গাছ উপড়ে পড়ে সড়কের অংশ ভেঙ্গে গেছে। এসব কারণে সড়কের এ অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে পর্যন্ত চলাচল করছে না।
সড়কের এই অংশ ব্যবহার করে উপজেলা শহর থেকে যারা মাত্র ১৫-২০ মিনিটে বাড়ি যেতে পারে, সড়ক খারাপ হওয়ার কারণে তারাই উপজেলা শহর থেকে বলাখাল পূর্ব বাজার দিয়ে বকুলতলা হয়ে ডাকাতিয়ার উপর নির্মিত বলাখাল নাটেহরা ব্রীজ পার হয়ে রামচন্দ্রপুর বাজার সড়ক হয়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরকে এজন্যে বেশি সময় আর বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কের এই অংশ পাকাকরণ করা হলে উক্ত ইউনিয়নের উত্তর নাটেহরা, দক্ষিণ নাটেহরা, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, বামনীছোঁয়া, সাদ্রা, সমেশপুর, রামচন্দ্রপুর, জাখনী, দেবীপুরসহ পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরামুন্সীর হাটসহ সংলগ্ন এলাকার হাজার হাজার জনগণ ও শিক্ষার্থীর হাজীগঞ্জে যাওয়া আসার সময় ও অর্থ ব্যয় বহুলাংশে কমে যাবে।
এ বিষয়ে নাটেহরা গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন বিএসসি জানান, সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হওয়ার কারণে ১০ গ্রামের শিক্ষার্থীদের হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজসহ অন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে ১ কিলোমিটারের পরিবর্তে উল্টা পথে ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।
বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লোটাস দেলোয়ার জানান, সড়কটির অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে আমরা বলাখাল ঘুরে আসা-যাওয়া করতে হয়।
স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জহির হোসেন জানান, আমাদের এই অল্প একটু সড়ক পাকা করলে এলাকাবাসী কতো যে উপকৃত হবে তা বলে বুঝানো যাবে না।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান জানান, সড়কটি পাকাকরণের লক্ষ্যে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি মহোদয়ের নির্দেশে প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে কাজ করা হবে।