প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়টি ‘শপথ চত্বর’ নামে বহুল পরিচিত। এটির অবস্থান রেলওয়ে বায়তুল আমিন মসজিদের পূর্বদিকে ও চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনের পশ্চিমণ্ডউত্তর দিকে। এক সময় বিশেষ করে নব্বইর দশকের শুরুতে এটি শাপলা চত্বর নামে পরিচিত ছিলো। চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ইউসুফ গাজী তাঁর মেয়াদের শেষদিকে এই স্থানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের গ্রেড-১ শিল্পী স্বপন আচার্যকে দিয়ে দুর্বোধ্য অবয়বে নির্মাণ করেন একটি নান্দনিক স্থাপনা, যার নাম দেয়া হয় 'শপথ'। বস্তুত তখন থেকেই এটির অবস্থানস্থল পাঁচ রাস্তার মোড় 'শপথ চত্বর' নামে পরিচিত হয়ে উঠে। উদ্বোধনের পর প্রথমাবস্থায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় বর্ণিল আলো-পানির ছটায় 'শপথ'-এর যে নান্দনিকতা উদ্ভাসিত হতো, তা দেখতে চারপাশে ভিড়াক্রান্ত পরিবেশ তৈরি হতো। কালক্রমে পৌর কর্তৃপক্ষের বিদ্যুৎ ব্যয়ে কার্পণ্য সহ নানা কারণে সেই নান্দনিকতার নিয়মিত প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় দিবস সহ গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো ছাড়া বছরের অন্যদিনগুলোতে 'শপথ'-এর নান্দনিকতা প্রদর্শন করা হতো না। নিকট অতীতের এক সময়ে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। 'শপথ'-এর চারপাশে বিদ্যমান উঁচু রেলিং শুরু থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী সাঁটানোর একটি মোক্ষম স্থান হিসেবে বিবেচিত ও ব্যবহৃত হতে থাকে এবং অদ্যাবধি হয়ে আসছে। এতে 'শপথ'-এর ধূলিধূসরিত অবয়ব কার্যত ঢাকা পড়ে থাকতো কিংবা আড়ালে থাকতো সব সময়। পৌর কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যে অপসারণ করতো প্রচার সামগ্রীগুলো। আর বর্তমান মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল সুধী পৌরবাসীর দাবির মুখে 'শপথ'ই অপসারণ করে ফেলেন। তবে পুরানো রেলিং অপসারণ না করে স্বল্প পরিসরে নিচু রেলিংয়ে সহজবোধ্য নূতন স্থাপনা নির্মাণ সম্পন্ন করান সম্প্রতি। এতে শপথ চত্বরে যানবাহনের স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ যাতায়াত নিশ্চিত করে যানজট নিরসনও তাঁর সদুদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু পুরানো রেলিংটি অপসারিত না হওয়ায় তাঁর সদুদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েই চলছে। প্রচার সামগ্রী সাঁটানোর জন্যে পুরানো রেলিংটির চলছে এখন সর্বোচ্চ ব্যবহার, যেটি প্রত্যক্ষদর্শী মাত্রই অনুধাবন করতে পারেন। এমতাবস্থায় রেলিংটি অপসারিত হচ্ছে না প্রচার সামগ্রী সাঁটানোর স্বার্থে, না অন্য কোনো কারণে সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন বিরাজ করছে।