শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

আমাদের অর্জন আকাশছোঁয়া না হলেও একেবারে কম নয়
স্টাফ রিপোর্টার ॥

ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করার লক্ষ্যে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার একুশ উদযাপন পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন আসছে। চাঁদপুর জেলা সদরের মূল কার্যক্রম সংঘটিত হয় মূলত পুরাণবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ৫৪ বছর ধরে এখানে একুশে উদযাপনের বিরল ধারাবাহিকতায় যারা আয়োজক হিসেবে ব্যতিক্রম, তাদেরই একজন পুরাণবাজার ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ও সংস্কৃতি সংগঠক ধ্রুবরাজ বণিক। ভাষার মাস উপলক্ষে চাঁদপুর কণ্ঠে তাঁর সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি পুরাণবাজারে একুশ উদযাপনের সাথে যখন জড়িত হন তখন আপনি কী করতেন? কেনো জড়িত হন?

ধ্রুবরাজ বণিক : আমি ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২নং বালক সপ্রাবিতে যোগদান করি। তার পরের বছর ১৯৯৮ সাল হতে পুরাণবাজার একুশ উদযাপনের সাথে জড়িত হই। তখন আমি একজন তরুণ শিক্ষক। আমাদের বিদ্যালয়টি পুরাণবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিকটে অবস্থিত বিধায় স্বাভাবিকভাবে আমাদের বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী একুশ উদযাপন উপলক্ষে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। পুরাণবাজারে অনগ্রসর একটি সামাজিক পরিবেশে শিশুরা যাতে একটু এগিয়ে যায়, তাই এর সাথে জড়িত হওয়া।

চাঁদপুর কণ্ঠ : একই সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তথা একই ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ থেকে এতোটা দীর্ঘ সময় একুশ উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি পালনের পেছনে আপনাদের উদ্দেশ্য কী? সে উদ্দেশ্য কি সাধন হয়েছে?

ধ্রুবরাজ বণিক : আমাদের উদ্দেশ্য পুরাণবাজারে বসবাসরত নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর সন্তানদের আলোর পথে নিয়ে আসা। যারা খুব অসহায়, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, দরিদ্র, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অনেক পিছিয়ে আছে তাদের সামনে নিয়ে আসা। আমাদের উদ্দেশ্য পুরোপুরি এখনো বাস্তব রূপ লাভ করেনি। একুশ এলে যে আবহাওয়া বিরাজ করে, সারাবছর ধুলো পড়ে তা ঢাকা পড়ে যায়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : একুশে উদযাপনে পুরাণবাজারে আর কতোদিন এতোটা অবিচ্ছিন্ন থাকতে চান?

ধ্রুবরাজ বণিক : শুধু একুশ উদযাপন নয়, প্রতিটি ভালো কাজে সবার অবিচ্ছিন্ন থাকা ও সহযোগিতা করা উচিত বলে আমি মনে করি। আর নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বেশি করে সম্পৃক্ত করা ও দায়িত্ব দেয়া উচিত। এ পুরাণবাজারে আমরা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দলমত নির্বিশেষে অবিচ্ছিন্ন থেকে কাজ করতে চাই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনাদের অর্জন কী?

ধ্রুবরাজ বণিক : আমাদের অর্জন আকাশছোঁয়া না হলেও একেবারে কম নয়। আমরা একটি ছোট্ট শিশুকে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে দেশের কবিতা বলতে সাহস জুগিয়েছি, জাতীয় পতাকাটি তার মনে গেঁথে দিয়েছি। একুশের অগ্নিঝরা আলোতে একদিন এ জনগোষ্ঠী জেগে উঠবে এই প্রত্যাশা রাখছি।

ধ্রুবরাজ বণিক পুরাণবাজার একুশ উদযাপন পরিষদের প্রতিযোগিতা উপ-কমিটির আহ্বায়ক। তিনি ২নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। তাঁর বাবার নাম প্রয়াত গোবিন্দ লাল বণিক, স্ত্রী সীমা রাণী বণিক লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, মেয়ে দেবলীনা বণিক মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী, ছেলে সৌমিক বণিক ঢাকায় বুয়েটে অধ্যয়নরত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়