প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
কচুয়া পৌরসভার কোয়া গ্রামের মৃত এয়াকুব আলীর ছেলে অসহায় মোস্তফাকে প্রবাসে নেয়ার কথা বলে সরলতার সুযোগ নিয়ে শেষ সম্বল বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মোস্তফা তার পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের খান বাড়ির বাবুল খান ও তার ছেলে সোহাগ খান দলবল নিয়ে মোস্তাফার ভিটা-বাড়িতে মাটিকাটা শুরু করে। এ ঘটনার পর প্রতিকার চেয়ে মোস্তফা ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারার বিধান মতে আদেশক্রমে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে অস্থায়ী স্থিতাবস্থা বজায় ও কচুয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নালিশি ভূমির দখল বিষয়ে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে নির্দেশ প্রদান করেন। শুক্রবার কচুয়া থানার এএসআই অসীম কুমার রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা নোটিস প্রদান করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বাবুল গংকে অবহিত করেন।
ভুক্তভোগী মোস্তফা জানান, বাবুল খান ও জাকির খান আমাকে সৌদি আরব নেয়ার কথা বলে আমার হাতে ২০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত পাসপোর্ট করা জন্যে বলে। পরবর্তীতে আমার ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে ছেলের চিকিৎসা বাবদ আরও ৩০ হাজার টাকা ধার দেয়। ওই সময় টাকা লেনদেনের বিষয়টির কথা বলে আমার কাছ থেকে খালি ৩টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এই স্ট্যাম্প দিয়ে আমার শেষ সম্বল বসতভিটা রেজিস্ট্রি করে নেয় বাবুল খান গং। আমার ৩ সন্তান, স্ত্রী নিয়ে তাদের হুমকি-ধমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বিবাদী বাবুল ও জাকির বলেন, মোস্তফা সাড়ে ৫ শতক বসতভিটার জমি আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেয়।
কচুয়া থানার এএসআই অসীম কুমার রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা নোটিস প্রদান করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বাবুল গংকে অবহিত করেছেন।