শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কল্যাণ ট্রাস্ট করা যেতে পারে
আলআমিন হোসাইন ॥

সোহেল রুশদী চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৯২ সালে তিনি এ কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৯৫ সালে বিএসএস পাস করেন। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পাস করেন।

সোহেল রুশদী পেশাগতভাবে সাংবাদিক। তিনি দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সহ-সভাপতি ও বিজয় টিভির (চাঁদপুর) স্টাফ রিপোর্টার। ছাত্রজীবন থেকে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

‘চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি’ শীর্ষক দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আজ সাংবাদিক সোহেল রুশদীর কথা তুলে ধরা হলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে জানতে চাই।

সোহেল রুশদী : আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী গ্রামে রুশদী বাড়িতে। এ গ্রামেই আমার শৈশব ও কৈশোরের সময় কাটে। পরে চাঁদপুর শহরে সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কত সালে, কোন্ শ্রেণিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন?

সোহেল রুশদী : আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি ও বিএসএসের ছাত্র। ১৯৯২ সালে এ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি ও ১৯৯৫ সালে বিএসএস সম্পন্ন করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সে সময় কলেজের পরিবেশ কেমন ছিলো?

সোহেল রুশদী : আমাদের সময় তেমন বড় ধরনের অবকাঠামো ছিলো না। মূল দুটি ভবন ছিলো। আর ছিলো বিশাল কলেজ মাঠ। সে সময় আমরা কলেজ মাঠে প্রচুর খেলাধুলা করতাম। তখন কলেজের পরিবেশ ছিলো মনোরম। ছেলে-মেয়েরা একসাথে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে পড়াশোনা করতাম।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক এবং সহপাঠী ছিলেন কারা? তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন।

সোহেল রুশদী : বাংলা বিভাগের মুহাম্মদ খলিলুর রহমান স্যার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের রুহুল আমিন স্যার আমার প্রিয় শিক্ষক। তাঁরা আমাদের তখন খুব যত্নসহকারে পড়া বোঝাতেন। আমাকে সবসময় দিকনির্দেশনা দিতেন। স্যারেরা ছিলেন খুবই আন্তরিক ও ভালো মনের মানুষ। আমার সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ ও আমার সহপাঠী সকলের সাথেই আমার সম্পর্ক ছিলো খুবই ভালো ও মধুর।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজে পড়াবস্থায় নিজেকে কী নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন?

সোহেল রুশদী : কলেজে পড়াবস্থায় সমাজ, দেশের কল্যাণে, মানুষের কাজ করার প্রবল স্বপ্ন দেখতাম। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে স্বপ্ন ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবো। এজন্যে ঢাকায় একটি কোচিং সেন্টারেও ভর্তি হয়েছিলাম। সেটা আর পারিবারিক বিশেষ কারণে সম্ভব হয়নি। তবে চাঁদপুর সরকারি কলেজে লেখাপড়া অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশায় প্রথমে নেশা হিসেবে যুক্ত হই, পরে পেশা হিসেবে নিয়েছি। এজন্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে লাখো শোকরিয়া।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ৭৫ বছরপূর্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

সোহেল রুশদী : চাঁদপুর সরকারি কলেজ আমার গর্বের প্রতিষ্ঠান। যাঁরা এ কলেজে থেকে পড়াশোনা করে গেছেন, তাঁরা সবাই ৭৫ বছর উদযাপনের মাধ্যমে একত্রিত হতে পারবে, যা সত্যিই আনন্দদায়ক। মহা মিলনমেলার এই ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আমার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব, কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কল্যাণ ট্রাস্ট করা। যে ট্রাস্ট থেকে প্রতি বছর এ কলেজের গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যে আর্থিক (অনুদান) সহযোগিতা প্রদান করা যেতে পারে। যাতে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে। এছাড়া পরামর্শ থাকবে, ৭৫ বছরপূর্র্তি উদযাপনকে স্মরণীয় করতে, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অর্ন্তভুক্তি করার ওপর দৃষ্টি দেয়া। যাতে করে সত্যিকারের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলনমেলা ঘটে এবং এ উদযাপনে সার্থকতা আসে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা/স্বপ্ন কী?

সোহেল রুশদী : চাঁদপুর সরকারি কলেজ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে সেরা কলেজ হবে এটিই আমার স্বপ্ন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : নতুনদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন?

সোহেল রুশদী : মেধা ও মনুষ্যত্বকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন অপরিহার্য। কোনো কিছু শিখতে হলে নিজেকে বিনয়ী হতে হবে। সর্বোপরি, ভালো মানুষ হতে হবে।

সোহেল রুশদী চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহ্তলী জিলানী চিশতী কলেজ গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান, শাহতলী কামিল (এমএ) মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি, জিলানী চিশতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, উত্তর শাহ্তলী জোবাইদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, ৩০নং মধ্য শাহ্তলী কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি, শিক্ষানুরাগী ও আজীবন দাতা সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শাহ্তলী ঐতিহ্যবাহী রুশদী পরিবারের সন্তান। তার দাদা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম এটি আহমেদ হোসাইন রুশদী ও পিতা প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান সমাজসেবক মরহুম অ্যাডঃ তাহের হোসেন রুশদী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়