প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
আল ইমরান শোভন। যিনি একজন গণমাধ্যম ব্যক্তি হিসেবে এই নামে পরিচিত। শিক্ষাজীবনে এই শিক্ষার্থী বন্ধুমহল তথা সহপাঠী এবং শিক্ষকদের কাছে শাহাজাদা আল ইমরান (শোভন) নামে পরিচিত। চাঁদপুর সরকারি কলেজের একজন সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ১৯৯৯ সালে এ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। এরপর এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে চাঁদপুর জেলার বৃহৎ ও সুনামধন্য সাংবাদিক সংগঠন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামে একটানা তৃতীয়বারের মতো সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহে বার্তা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চ্যানেল টুয়েন্টিফোর, দৈনিক যায়যায়দিন ও বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমে চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি পদে কর্মরত।
‘চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি’ শীর্ষক দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আল ইমরান শোভনের কথা তুলে ধরা হলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কত সালে, কোন্ শ্রেণিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন?
আল ইমরান শোভন : আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিকের (এসএসসি) গণ্ডি পেরিয়ে ১৯৯৯ সালে চাঁদপুর জেলা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হই। এ প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা সম্পন্ন করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সে সময় কলেজের পরিবেশ কেমন ছিলো?
আল ইমরান শোভন : একজন শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফেলে আসা দিনগুলো আমৃত্যু স্মরণীয়। আমরা যখন কলেজে অধ্যায়নরত ছিলাম তখনকার স্মৃতিগুলো এখনও বেশ নাড়া দেয়। বিশেষ করে সহপাঠীদের সাথে পড়াশোনার পাশাপাশি দিনভর খোশ-গল্প আর আড্ডা এখনও বেশ মনে পড়ে। এছাড়া প্রিয় শিক্ষকদের সান্নিধ্য ও বন্ধুসুলভ আচরণ আজও স্মরণীয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক এবং সহপাঠী ছিলেন কারা? তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন।
আল ইমরান শোভন : কলেজ জীবনে প্রতিটি বন্ধুই ছিলো বেশ আপনজন। আমি যখন উচ্চ মাধ্যমিকে বাণিজ্য বিভাগে অধ্যায়নরত ছিলাম সে সময় স্কুলজীবনের বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান খান ছিলো বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান একই কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এছাড়া বন্ধু ইমাম হোসেন রাসেল, কামরুল হাসান, কাজী ইমরান মোবারক পলিন, খান মোহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ, মোঃ মিরাজুল ইসলাম, মোঃ আলআমিনসহ অসংখ্য বন্ধুর স্মৃতি আজও বেশ স্মরণীয়।
কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি শেষে যখন অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই, তখন আমাদের বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বর্তমান কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। স্যার ছিলেন আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের প্রিয়, বন্ধুসুলভ ভালো মাপের শিক্ষক এবং একজন ভালো মনের গুণী মানুষ। স্যারের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ৭৫ বছরপূর্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
আল ইমরান শোভন : চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে আমার সকল সহপাঠী, বন্ধু, শিক্ষকসহ সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কলেজে এমন আয়োজন বেশ আনন্দদায়ক। ৭৫ বছরপূর্তিতে অংশগ্রহণ করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা/স্বপ্ন কী?
আল ইমরান শোভন : কলেজটি নিয়ে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে নিজ জেলা এবং জেলার বাইরে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছে। কলেজটি অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যে অনুকরণীয় ও উদাহরণস্বরূপ হয়ে থাকবে। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা হবে মুক্তচিন্তার মানুষ ও সৎ মানুষ। প্রিয় প্রতিষ্ঠানটির জন্যে সবসময় শুভ কামনা। কলেজটি আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে, এমনটি প্রত্যাশা সবসময়।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পক্ষ থেকে এই ধরনের আয়োজন করায় পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।