আড়াই শ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের পরিবেশসহ সার্বিক চিত্র দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে অনেক সংস্কারমূলক কাজ করে সেবার মানে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। চালু হয়েছে একাধিক ভিআইপি কেবিন। কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগ চালুরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আগের চেয়ে অনেক গুণ বেড়েছে। আগে বাথরুমের কাছে যাওয়াও যেতো না দুর্গন্ধ এবং নোংরা পরিবেশের কারণে। আর এখনকার পরিবেশ খুবই ক্লিন এবং স্বচ্ছ। হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগেও অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর এ সবই হচ্ছে হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমানের ডায়নামিক পরিচালনার কারণে।

গত বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদক আকস্মিক হাসপাতালে যান। তিনি তত্ত্বাবধায়ককে নিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। পুরো হাসপাতালের চিত্র দেখে তিনি অভিভূত হন। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় কেবিন ব্লকে গিয়ে দেখা গেলো তিনটি ভিআইপি কেবিন প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ডাবল বেডের। কেবিনগুলো নতুন টাইলস দিয়ে এবং রং করে ঝকঝকে করা হয়েছে। বেডও আধুনিক মানের। এই বেডগুলো ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে তাঁর দুই সন্তান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি এবং ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু হাসপাতালে দেন বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান। এই ভিআইপি কেবিনে তখন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, হাসপাতালে ভিআইপি কেবিন প্রস্তুত করা হয়েছে এ জন্য যে, দেখা গেলো রাষ্ট্রীয় কোনো ভিভিআইপি লোককে অথবা আর্থিক সামর্থ্যবান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলো। তখন যাতে তাঁদেরকে এই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেয়া যায় এ জন্যে এই ভিআইপি কেবিন প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা তৃতীয় তলার পুরো কেবিন ব্লক এবং পেইংবেড বিভাগকে এ রকম আধুনিক মানের করা। এর জন্যে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবো।

এরপর যাওয়া হয় হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে টয়লেটসহ বাথরুম এলাকায়। সেখানে গিয়ে দেখা গেলো ভেতরে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কোনো দুর্গন্ধ নেই।

হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগটি তৃতীয় তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগে ছিলো একটা সাইডে আট বেডের, আর এখন দুই সাইডে আট বেড করে ১৬ বেডের। হাসপাতালের নিচতলায় মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্র-ছাত্রী পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘সন্ধানী’ বিভাগ খোলা হয়েছে। যেটি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি উদ্বোধন করবেন। হাসপাতালের ভেতরে দেয়ালের নিচের অংশে টাইলস লাগানো হয়েছে। যার কারণে এখন আর অপরিষ্কার থাকে না। সবচেয়ে ভালো লাগলো- পুরো হাসপাতাল ঘুরে কোনো দুর্গন্ধ পাওয়া গেলো না। সব মিলিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ সব কিছুর গুণগত মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।