প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
জমির পরিমাণ ২ গ-া বা ১২ শতাংশ। পুরো জমিতে যে ধান পেয়েছেন তা ১ হাজার টাকা মণে বিক্রি করেছেন ৭শ’ ৫০ টাকা। একই জমির খড় (স্থানীয় ভাষায় খের বলে) বিক্রি করেছেন ৮শ’ টাকা। এক কথায় ধানের চেয়ে খড়ের দাম বেশি। আর গড় হিসেব করলে এই কৃষকের লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের সন্না কৃষি মাঠে নিজ জমিতে পাট চাষের সাথে ৪০ টাকা দিয়ে আধা কেজি আমন বীজ বপন করে স্থানীয় সন্না গ্রামের অক্বার বাড়ির কৃষক ওসমান মিজি। পাট কাটার পর সেই ধানে ৮শ’ টাকায় ২ শ্রমিক দিয়ে নিড়ানি দিয়েছেন। নিজেই সেই ধান কেটে বাড়িতে এনে ধান মাড়াই করেছেন। সবমিলিয়ে শুকনা ধান পেয়েছেন ৩০ কেজি।
ওসমান মিজি আরো জানান, ১ হাজার টাকা মণ দরে ৩০ কেজি ধান বিক্রি করেছেন ৭শ’ ৫০ টাকায়। সেই একই জমির ধানের খড় বিক্রি করেছেন ৮শ’ টাকা। পাটের জমি হওয়াতে জমিতে বাড়তি সার দেওয়া লাগে না। সার দিলে আয়-ব্যয়ে হয়তো সমান হয়ে যেতো, আর মাঝখান দিয়ে নিজের জমির লাভ আর পরিশ্রমটাই বৃথা যেতো। জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ না হলে আরো কিছু ধান পেতেন বলে জানান এই কৃষক।