শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

সভার কার্যবিবরণী পরিবর্তনে কেরানির কারসাজি না অন্য কিছু?
পর্যবেক্ষক ॥

২০০৮ সালে এসএম মনিরুল ইসলাম চাঁদপুর জেলার একটি কলেজ গভর্নিং বডি (জিবি)-এর সভাপতির দায়িত্বপালনকালে একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সেটি ছিলো, জিবির সভার নোটিস সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌঁছানো হতো না। নোটিসে যেসব আলোচ্য বিষয় উল্লেখ থাকতো এবং সে অনুযায়ী আলোচনা হতো, সভার পরবর্তীতে কার্যবিবরণী (রেজ্যুলেশন) লেখার সময় সেটি অধ্যক্ষ মহোদয় নিজের মনমতো লিখে নিতেন। এজন্যে তিনি নোটিস খাতায় আলোচ্যসূচি পরিবর্তন করে নিতেন, যাতে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন। একবার, দুবার, তিনবার। জিবির একজন সদস্য একদিন একটি সভায় কার্যবিবরণী পূর্ববর্তী সভায় আলোচিত বিষয় অনুযায়ী লিখা হচ্ছে না বলে চ্যালেঞ্জ করে বসলেন। সভার সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক চ্যালেঞ্জটি আমলে নিয়ে অধ্যক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলেন। তিনি বললেন, কার্যবিবরণী তো আমি লিখি না, লিখে তো কেরানি, সে ভুল করলো কিনা। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া জিবির সদস্য সভার আলোচ্য বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণ উত্থাপন করলে অধ্যক্ষ ভ্যাবাচেকা খেলেন। জেলা প্রশাসক চক্ষুলজ্জায় অধ্যক্ষকে তিরস্কার বা বকাঝকা না করে শুধু বললেন, পরবর্তীতে সকল সভার কার্যবিবরণী লিখে চ্যালেঞ্জকারী সদস্যকে দেখিয়ে সংশোধন করেই তবে উত্থাপন করবেন।

জিবির সভার কার্যবিবরণী নিয়ে এমনটি ওই কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ই কেবল করেছেন, আর এমনটি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ করেন না---এটা হলফ করে বলার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কেননা এ কাজটি যে বিভিন্নজন সুযোগ বুঝে স্বার্থসিদ্ধির উদ্দশ্যে প্রায়শই করেন, তার প্রমাণ চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায়। সেজন্যে কোনো সভার নোটিসের কপি সংশ্লিষ্ট সকলকে সভার পূর্বে যথাসময়ে পৌঁছানো, সভা চলাকালে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর গ্রহণ এবং সর্বনিম্ন তিন কার্যদিবসে কার্যবিবরণী লিখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা উচিত। এতে সভার সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে মোবাইল ফোনের হোয়াটস্অ্যাপে/ ম্যাসেঞ্জারে/ ই-মেইলে সংশ্লিষ্ট সকলকে পাঠালে কারোই সভার আলোচ্যসূচি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে স্মৃতিভ্রষ্টতায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকবে না। বাস্তবতা হলো, এমনটি করা যথার্থ মনে হলেও কেউ এতোটা কষ্ট (!) করতে যায় না এবং চায় না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়