প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-৫-এর কোষাধ্যক্ষ, কোড়ালিয়া রোড উত্তর মহল্লা কমিটির সভাপতি ও পালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ পাটোয়ারী বলেছেন, চাঁদপুরের একমাত্র অঞ্চল-৫ই প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিমাসে অঞ্চল কমিটির নেতৃবৃন্দ নিয়ে সভা করার যে ধারাবাহিকতা শুরু করেছে, তা আজো অব্যাহত রেখেছে। ফলে জেলার মধ্যে একমাত্র আমাদের অঞ্চলটি সকল ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো চলছে।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া চাঁদপুরের কমিউনিটি পুলিশিং চলতি ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট দুই যুগপূর্তি করতে যাচ্ছে। আপনার অনুভূতি কী?
হারুন অর রশিদ পাটওয়ারী : কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর হলো সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল অরাজনৈতিক সংগঠন। যে সংগঠনটিকে মডেল করতে গিয়ে আমরা যথেষ্ট শ্রম দিয়েছি। রাত কে রাত নির্ঘুম থেকে সংগঠনের বিষয়ে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে এ সংগঠনের পথচলা শুরু করেছি। সেই সংগঠনের দুই যুগপূর্তি হচ্ছে, যা শুনে ভালো লাগছে। আমি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাফল্য কামনা করছি।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : এখানকার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাফল্য ও ঘাটতি কী কী?
হারুন অর রশিদ পাটওয়ারী : কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাফল্যের কারণে আজ রাতের চাঁদপুর দিনের চেয়ে বেশি নিরাপদ। কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-৫ যখন গঠিত হয়, তখন শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে গুয়াখোলা, কোড়ালিয়া এবং বড়স্টেশন এলাকা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত হয়। এলাকাটিকে তখন বলা হতো ক্রাইম জোন। এমনকি এ এলাকার বিভিন্ন মহল্লার চিহ্নিত কিছু পরিবার ছিলো, যারা মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিলো। আমরা চাঁদপুরের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, সাংবাদিক নেতা রোটাঃ কাজী শাহাদাত পিএইচএফের নেতৃত্বে দায়িত্ব নিয়ে পুরো অঞ্চল থেকে এ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি। কাজী শাহাদাত ভাইয়ের নেতৃত্বে কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-৫ গঠন করে দীর্ঘ ৬ মাস আমরা সারারাত ধরে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ডিউটি করেছি। অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। ৬ মাস নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে টহল বাহিনীর বেতন দিয়েছি। নিজেদের অর্থে অফিস করেছি, চেয়ার টেবিল কত কিছু করেছি, যা আজ বললে অনেকের কাছে গল্প মনে হবে।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : এখানকার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উন্নয়নে আপনার পরামর্শ কী?
হারুন অর রশিদ পাটওয়ারী : কমিউনিটি পুলিশংকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রতি মাসে সভা করে সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, চাঁদপুরের একমাত্র অঞ্চল-৫ প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিমাসে অঞ্চল ও মহল্লা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভা করার যে ধারাবাহিকতা শুরু করেছে, তা আজো অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার মধ্যে একমাত্র আমাদের অঞ্চল-৫ই সকল ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো চলছে।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চান?
হারুন অর রশিদ পাটওয়ারী : সকলের উদ্দেশ্য বলবো, কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে কাজী শাহাদাতের মতো নিঃস্বার্থ ব্যক্তিদের এই সংগঠনের নেতৃত্বে আনতে হবে। এমনটি পারলেই এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার সফলতা আসবে। নচেৎ এই সংগঠনের কার্যক্রম এক সময় নিঃশেষ হয়ে যাবে।