প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জ বাজারের শ্রীশ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার কমিটি দ্বন্দ্বে ফের রিসিভার নিয়োগ করেছে চাঁদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। গত ১৫ জানুয়ারি মাননীয় আদালত রিসিভারে স্বাক্ষর করেন। এতে রিসিভার দেয়া হয় হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। এর আগে ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রিসিভার নিয়োগ দেয় মাননীয় আদালত চাঁদপুর। যুগল কৃষ্ণ সরকার নামের এক ব্যক্তি রিসিভারটির আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
সর্বশেষ রিসিভার নিয়োগের সূত্রে জানা যায়, রিভিশনকারী পক্ষের বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট শুনানিকালে বলেন, তর্কিত আদেশ মূলে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে রিসিভার নিয়োগের যে আদেশ দিয়েছেন তা সঠিক হয়নি। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট শুনানিকালে বলেন, মন্দির পরিচালনার জন্য দুটি কমিটির মধ্যে বিরোধ হওয়ায় সঠিকভাবে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিসিভার নিয়োগের আদেশ প্রদান করেন। রিভিশনের দরখাস্ত, মূল মামলার নথি, তদন্ত প্রতিবেদন, তর্কিত আদেশ এবং বিজ্ঞ অ্যাডভোকেটগণের বক্তব্য পর্যালোচনা করলাম। মূল নথিসহ বিজ্ঞ অ্যাডভোকেটগণের শুনানি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মন্দির পরিচালনা কমিটি নির্বাচন নিয়ে পক্ষদের মধ্যে বিরোধ বিরাজমান। যার ফলে মন্দিরে ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্নে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। মন্দিরের ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়া কোনোভাবে কাম্য নয়। ২০/২/২০১৮ তারিখে তর্কিত আদেশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাজীগঞ্জে সংশ্লিষ্ট মন্দিরের অফিসার নিয়োগ করতে মন্দিরের আর্থিক বিষয়াদির হিসাবসহ বর্তমান কমিটির নির্বাচন সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়েছিলো কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদনপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশ পক্ষগণ এবং মন্দিরের ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতির কারণ নেই বিবেচনায় উক্ত আদেশ বহালযোগ্য প্রতীয়মান হয়। সুতরাং বিবেচ্য বিষয়সমূহ রিভিশনকারীর প্রতিকূলে নিষ্পত্তিপূর্বক এই রিভিশনটি মঞ্জুর যোগ্য নয় মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। অতএব আদেশ হয় যে, এই ফৌজদারি রিভিশন মামলাটি উভয় পক্ষে শুনানি অন্তে নামঞ্জুর করা হলো। এই ফৌজদারি রিভিশন মামলা সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চাঁদপুরের দরখাস্ত ১০২২/২০১৬নং মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিগত ২০/২/২০১৮ তারিখে প্রচারিত তর্কিত আদেশ এতদ্বারা বহাল ও বলবৎ রাখা হলো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, আদেশটি আমি পেয়েছি। আসছে ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে আমি বিষয়টি বুঝে নেবো।