প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
বালিথুবায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারো মা-রহমত ইটভাটা চালু
ফরিদগঞ্জের বালিথুবায় অবৈধভাবে চলছে মেসার্স মা-রহমত ব্রিক ফিল্ড (অনুমতিবিহীন)। এ ব্রিক ফিল্ডের কারণে প্রচুর ফসলি জমি বিনষ্টসহ ট্রাক্টর চলাচলে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। উক্ত এলাকায় ব্যাংক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এছাড়া গ্রামের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া ও পাঠদানে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন পর পর দুবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ করে দিয়েছিলো এ অবৈধ ব্রিকফিল্ডটি। তারপরও সেটি পুনরায় চালু হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ইটভাটায় পুনরায় ইট পোড়ানোর কাজ চলছে। প্রশাসন জরিমানা আদায়সহ মালিকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে দুবার ইটভাটাটি বন্ধ করে দেয়। তারপরও ইটভাটার মালিক প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে পুনরায় ইটভাটার কার্যক্রম চালু করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক’জন সচেতন ব্যক্তি বলেন, ইটভাটাটি উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দেয়ার পরও তারা পুনরায় চালু করলো কীভাবে? ইটভাটার কারণে পরিবেশের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরেও তারা কীভাবে ভাটা চালু করে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ইটভাটায় নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দ্বারা মাটিসহ মালামাল বহন করা হয়। নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের চাপায় সাংবাদিক, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এমনকি জমির মালিক নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়েরও করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, ইটভাটাটি বন্ধ করার পরও চালু করেছে। এ বিষয়ে আমাদের দপ্তর থেকে কার্যক্রম চলমান আছে।
জেলা ইট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার বিরুদ্ধে জমির মালিক আদালতে নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে মা-রহমত ব্রিক ফিল্ডে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ইটভাটাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। ১৯ জানুয়ারি পুনরায় দ্বিতীয়বারের মতো ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হলেও মালিক প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় ইটভাটা চালু করেন। উক্ত ইটভাটার বিরুদ্ধে জমির মালিক মাসুদ হোসেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করেন।