নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেছেন, আমরা চাই বড় দলগুলোসহ অন্যান্য দলের অংশগ্রহণে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। আমরা কমিশন থেকে আহ্বান জানিয়ে আসছি সকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্যে। আমরা আশাবাদী সকলে অংশগ্রহণ করবে। বড় দুই দল নির্বাচনী মাঠে না থাকলে নির্বাচন ভালো হবে না। নির্বাচনী মাঠ লেভেল প্লেয়িং করতে হলে বড় দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি গতকাল রোববার চাঁদপুরে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম এম সফিউল্লাহর বাসভবন থেকে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। মরহুম এম সফিউল্লাহর জামাতা নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান এবং তাঁর সহধর্মিণী সালমা রূপালীর উদ্যোগে চাঁদপুর শহরের ছয় শতাধিক দুঃস্থ অসহায় শীতার্ত মানুষ ও মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিকেলে ফরিদগঞ্জের বারপাইকা গ্রামে মরহুম এম সফিউল্লাহর বাড়িতে সাত শতাধিক মানুষের মাঝেও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন ইভিএম ও ব্যালট উভয় পদ্ধতিতেই হবে। আমরা আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম দেড় শ' আসনে ইভিএমে ভোট হবে। আমাদের আগের কমিশন দেড় লাখ ইভিএম কিনেছে। সেসব ইভিএম দিয়ে অনেকগুলো নির্বাচন হয়েছে। সে জন্যে কিছু মেশিন অকেজো হয়ে আছে। এখন প্রাপ্যতার ভিত্তিতে বলা যাবে কয়টা আসনে ইভিএমে ভোট হবে।

চাঁদপুরে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনারের সহধর্মিণী সালমা রূপালী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা নির্বাচন অফিসার তোফায়েল আহমেদ, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, মরহুম এম সফিউল্লাহর মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা কাঁকন ও মুনিরা বেগম, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম, ডাঃ মুকিত সফিউল আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টু প্রমুখ।