বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

হাজীগঞ্জের আলোচিত শিশু আরাফ হত্যার রায় বৃহস্পতিবার
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

চট্টগ্রামের ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের সাথে বাস করতো আড়াই বছরের শিশু আরাফ। ২০২০ সালের ৬ জুন ভাড়া বাসার পানির ট্যাংকি থেকে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আরাফের লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম পুলিশ। সে ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ বাসার দারোয়ানসহ বেশ কজনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে শিশু আরাফ হত্যার রহস্য। আগামী বৃহস্পতিবার আরাফ হত্যা মামলার রায় দেয়া হবে। এর আগে এই মামলার রায় গত বুধবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোঃ জসিম উদ্দিনের আদালতে দেয়ার কথা ছিলো।

আরাফ হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম ও ফারহানা বেগম দম্পত্তির একমাত্র সন্তান। আব্দুল কাউয়ুম একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরি করার সুবাদে চট্টগ্রামে বাস করতেন। জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ জুন বিকেলে নগরীর বাকলিয়া থানার মিয়া খান নগরে একটি ভবনের ছাদে পানির ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় দুই বছরের শিশু আরাফকে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয় মিয়া খান নগরের বাসিন্দা মোঃ ফরিদ, শিশু আরাফের পরিবার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই ভবনের দারোয়ান মোঃ হাসান ও হাসানের মা নাজমা বেগমকে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে মিয়া খান নগরে ভবনের সামনে গাড়ি রাখার জায়গায় খেলছিলো শিশু আরাফ। চানাচুর খাওয়ার পর সে মায়ের কাছে পানি খেতে চেয়েছিল। তখন আরাফের মা ফারহানা ইসলাম পানি আনতে ঘরের ভেতরে যান। তিনি ফিরে এসে দেখেন ছেলে নেই। এই ফাঁকে আদর করার ছলে আরাফকে নিয়ে ভবনের ছাদে চলে যায় দারোয়ান হাসানের মা নাজমা বেগম। সেখানে পানির ট্যাংকে ফেলে আরাফকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর নাজমা বেগম, তার ছেলে বাড়ির দারোয়ান হাসান ও তাদের পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তখন নাজমা বেগম আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে বলেছিলো, বাড়িওয়ালাকে ফাঁসাতে প্রতিবেশীর শিশুকে আদর করার ছলে পানির ট্যাংকে ফেলে সে হত্যা করে।

নাজমা আদালতে দেয়া জবানবন্দি বলেছিলো, ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় অর্থের লোভ এবং পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদের প্রলোভনে বাড়িওয়ালাকে ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে। ঘটনার সময় নাজমার ছেলে হাসান (২৩) গেট খুলে দিয়ে তাকে ছাদে উঠতে সহায়তা করেছিলো। ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নূরুল আলম মিয়া ছিলেন ৮তলা ওই ভবনের মালিক। মূলত তাকে ফাঁসাতে ওই ভবনের বাসিন্দা কোনো শিশুকে হত্যা করতে নাজমাকে ২০ হাজার টাকার লোভ দেখায় প্রতিবেশী ফরিদ। আসামী ফরিদ বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারী ছিলেন। ঘটনার আগে কাউন্সিলর প্রার্থী ও ভবন মালিক নূরুল আলম মিয়ার প্রচারে হামলার ঘটনায় ফরিদকে আসামি করা হয়েছিলো। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন।

ঘাতক চক্রের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে শিশুটির বাবা-মা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমরা মাননীয় আদালতের কাছে আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়