প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৩
চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব
চাঁদপুর জেলায় সরকারি ৬৭টি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় গত সভার কার্যবিবরণী পাঠসহ সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন।
|আরো খবর
সভায় উন্নয়ন কার্যক্রম ও সমস্যা চিহ্নিতকরণসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী প্রমুখ। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগণ। সভায় উত্থাপিত বিষয়ের আলোকে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ. ন. ম. মাহবুবুল আলম লিপনসহ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা নির্বাচন অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তগণ।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়ে ওঠে না। যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে কাজের ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস পালনে সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান এবং জেলা পর্যায়ে সকল কর্মকর্তাকে একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনে গৃহীত সকল কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমরা যদি সকলেই কাজের ক্ষেত্রে আন্তরিক হই তাহলে আমাদের কোনো কাজই অসমাপ্ত থাকবে না এবং সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। তিনি বৈশ্বিক মন্দাভাব দূরীকরণে কৃষিখাতের উপর নজর বৃদ্ধি, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, জাটকা রক্ষা, সেচ কাজে ব্যবহৃত পানির নিশ্চয়তা, নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আরো কঠোরতা অবলম্বনসহ বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় প্রতিটি উপজেলার খালগুলোকে পানি প্রবাহের উপযোগী করে গড়ে তোলা, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকল অনাবাদী জমিকে চাষ উপযোগী করে গড়ে তোলা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, ডিলারদের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিক্রিতে যাতে অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর দেয়া, আক্কাছ আলী রেলওয়ে একাডেমীর বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণসহ মাঠ ভরাটকরণ, বিষ্ণুপুর, মোহনপুর এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোরতা অবলম্বন, জাটকা রক্ষায় মার্চের ১ তারিখ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অভয়াশ্রম কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, জমি খারিজের ক্ষেত্রে অনিয়ম দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি কর্মসূচিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, যানজট নিরসন, ফুটপাতসহ অবৈধ দখল মুক্তকরণ, প্রকৃত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পাওয়া নিশ্চিতকরণ, সমন্বয় সভায় পৌরসভার সকল মেয়রের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণসহ মাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদন নিয়মিত প্রেরণ করা, জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণে স্থান নির্ধারণ করাসহ বিভিন্ন সমস্যা উপস্থাপনপূর্বক তা নিরসনে ব্যাপক আলোকপাত করা হয়।