শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৭

চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি-২২

কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যে আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই

-------আবু বকর মানিক

সোহাঈদ খান জিয়া
কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যে আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই

আবু বকর মানিক চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের বাগাদী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বাগাদী গণি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে এসএসসি পাসের পর চাঁদপুর সরকারি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে এইচএসসি, অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব (বাপসা) কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় চাঁদপুর সরকারি কলেজে রোভার স্কাউট এবং বিতার্কিক ছিলেন। পাশাপাশি দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ, সাপ্তাহিক চলতিপত্র, মাসিক পল্লী কাহিনী পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। এছাড়া মাধ্যমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আবু বকর মানিক ব্যক্ত করেছেন তার আনন্দানুভূতি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কত সালে, কোন্ শ্রেণিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন?

আবু বকর মানিক : ১৯৯৬ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হই এবং ১৯৯৮ সালে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে পাস করি। এই কলেজেই ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ভর্তি হই এবং ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষে একই বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সে সময় কলেজের পরিবেশ কেমন ছিলো?

আবু বকর মানিক : আমাদের সময় (১৯৯৬-২০০৫) কলেজের পরিবেশ ভালো ছিলো। এখন আগের থেকে অনেক অনার্স বিষয় হয়েছে, অনেক বহুতল ভবন হয়েছে। আলাদা প্রশাসনিক ভবন হয়েছে। এখনকার পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের সময় কলেজে সাইকেল স্ট্যান্ড ছিলো। কলেজ লাইব্রেরি, খেলাধুলার কমনরুম, এএফ কক্ষ, ১০নং রুম-এসব কক্ষ সব সময় জমজমাট ছিলো। কলেজের ভেতরে অস্থায়ী একটা ফুচকার দোকান ছিলো। তখনকার সময় রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম খুব জোরালো ছিলো। আমাদের সময় সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের মিছিল-স্লোগানে মুখরিত ছিলো কলেজ অঙ্গন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক এবং সহপাঠী ছিলেন কারা? তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন।

আবু বকর মানিক : সমাজকল্যাণ বিভাগের নূরুল ইসলাম স্যার, ইংরেজি বিভাগের নিশাত আমিন ম্যাডাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ হোসেন স্যার, প্রয়াত কবি প্রফেসর জাকির হোসেন মজুমদার স্যার, প্রফেসর রুহুল আমিন স্যার, বর্তমান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ স্যার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান স্যার প্রমুখ আমার ভীষণ প্রিয়।

কলেজের প্রিয় সহপাঠী ক্রীড়া সাংবাদিক জাহিদুর রহমান চৌধুরী, ইফতেখার উদ্দিন শিশু, জহিরুল ইসলাম নয়ন, অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন গাজী, অ্যাডঃ খালেদ মোশাররফ, অ্যাডঃ পরাণ, সালামত উল্লাহ শাহীন, তাহেরুল ইসলাম সোহাগ, নয়ন, হাবীব, ওয়ালিউল্লাহ খান মিঠু, হাজী মিঠু, সাগর, শিমুল, কবি জাবেদ ইমন মজুমদার, নিশাত, মৌ, ইভা, মুন্নি, মুনমুন, শাহিন, আকলিমা প্রমুখ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ৭৫ বছরপূর্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

আবু বকর মানিক : ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠান হবেÑএটা সত্যিই গৌরবের। আমি এই উদ্যাপন অনুষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন করতে পেরে নিজকে ধন্য মনে করছি। পাশাপাশি আমি এই উদ্যাপন উপলক্ষে গঠিত দপ্তর উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। ৭৫ বছরপূর্তি একটা ব্যাপক এবং বৃহৎ অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করা খুবই কষ্টসাধ্য। সকলের সমন্বয়ে এবং আন্তরিকতায় অনুষ্ঠানটি সফল-সার্থক হয়ে কলেজের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেÑএটাই প্রত্যাশা করছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা/স্বপ্ন কী?

আবু বকর মানিক : চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন, বর্তমান এবং বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকদের চিকিৎসা সেবার জন্যে একটি আধুনিক হাসপাতাল তৈরি করা জরুরি। কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যে যানবাহন বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের জন্যে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর-লক্ষ্মীপুর রূটে কলেজ বাস চালুর দাবি করছি। শুধুমাত্র নারীদের জন্যে চাঁদপুর-হাজীগঞ্জ-কচুয়া-শাহরাস্তি রূটে আলাদা কলেজ বাস চালু করা দরকার। কলেজে ক্যাফেটেরিয়া চালু করা দরকার, কলেজের অভ্যন্তরে নামাজের স্থান, ছাত্রীদের জন্যে নামাজের ব্যবস্থা, কলেজের ঐতিহ্যবাহী সাইরেনটি সচল করে রমজান মাসে ইফতার ও সেহেরীর সময়ে চালু রাখা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উল্লেখিত প্রশ্নের বাইরে আপনার কোনো কথা থাকলে বলুন।

আবু বকর মানিক : চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে যারা অনার্স, মাস্টার্সে ভালো রেজাল্ট করবে, তাদেরকে কলেজের ফান্ড থেকে স্কলারশীপ দিয়ে বিদেশে এমফিল, পিএইচডি করার সুযোগ করে দেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়