প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৯
অবশেষে হাইমচরের একটি লঞ্চঘাটে স্থাপিত হলো পন্টুন
অন্যান্য লঞ্চঘাটেও পন্টুন স্থাপনের দাবি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে হাইমচরের একটি লঞ্চঘাটে পন্টুন স্থাপিত হয়েছে। সাবেক কাটাখালি ঘাট বর্তমানে নয়ারহাট লঞ্চঘাট হিসেবে এটি ব্যবহার হচ্ছে। এখানে বিআইডব্লিউটিএ জেটি নির্মাণের পর স্থাপন করেছে পন্টুনও। ২৬ এপ্রিল চাঁদপুর নদী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
|আরো খবর
তিনি বলেন, নয়াহাট লঞ্চঘাটের জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। সোমবার সেখানে জেটি সংযুক্ত পন্টুনও বসানো হয়েছে। এখন নৌপথের যাত্রীরা অনায়াসে জেটি ও পন্টুন ব্যবহার করে লঞ্চে উঠানামা করতে পারবেন। শুধু নয়াহাটেই নয়, এর পাশাপাশে চরভৈরবী, হাইমচর ও তেলিরমোড়েও লঞ্চঘাট রয়েছে। কিন্তু লঞ্চ ভিড়ানোর জন্যে জেটি বা পন্টুন ছিলো না। কাদামাটি এবং নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় বিছানো ব্লকের ওপর ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হয়। কাটাখালি নয়ারহাট লঞ্চঘাট নির্মাণ করায় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এখন চরভৈরবী এবং হাইমচর তেলিরমোড় ঘাটেও একইরকমভাবে লঞ্চ ভিড়ানোর জন্য পন্টুন দাবি করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীসাধারণ। তারা জানান, কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায়িক কাজে এখানকার মানুষের ঢাকায় যেতে লঞ্চ ছাড়া বিকল্প বাহনে ভাড়া লাগে অতিরিক্ত। চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই নদী পথে লঞ্চে জেলা সদর, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকায় যাতায়াত করে। সকাল ৯টায় এবং রাত ৯টায় দুটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে হাইমচর থেকে ছেড়ে যায়। কিন্তু লঞ্চঘাটে পন্টুন ও বসার স্থান না থাকায় নানা ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীসাধারণ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বিআইবডব্লিউটিএ-এর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বলেন, নয়াহাট (কাটাখালি) পন্টুনসহ জেটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা না থাকলে অন্যান্য ঘাটেও জেটি ও পন্টুন পর্যায়ক্রমে হবে।