প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৫
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির ধারা বাতিল, ফিরল গণভোট
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির ধারা বাতিল, ফিরল গণভোট
প্রতিবেদন : মোঃ জাহিদুল ইসলাম সুমন খন্দকার।
হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা–সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের দুটি ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং আইনের আরও চারটি ধারা বাতিল করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় দেন। আদালত রায়ে বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংযোজন করা ৭ক, ৭খ এবং ৪৪ (২) অনুচ্ছেদকে সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করা হয়েছে। গণভোটের বিধান পুনর্বহাল করে আদালত বলেছেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এটি অপরিহার্য। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরবে?
রায়ের পর সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আপিল বিভাগে রায় বহাল থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরবে এবং ভবিষ্যতের কোনো সরকার এটি বাতিল করতে পারবে না।"
তবে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, "তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপিল বিভাগের রিভিউর পর জানা যাবে।" গণভোটের গুরুত্ব
রায়ে আদালত গণভোটের বিধান পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের একটি বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের এই বিধান পুনর্বহাল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে। ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত সংসদের হাতে
আদালত জানিয়েছেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর অন্যান্য ধারা সংশোধন বা পরিবর্তন করার দায়িত্ব আগামী জাতীয় সংসদের ওপর নির্ভর করবে। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ রয়েছে। ঐতিহাসিক রায়
এই রায় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে।