প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮
মার্কিন প্রতিবেদনে রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যার সমালোচনা
২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা না ঘটলেও রাজনৈতিক বিরোধীদের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
|আরো খবর
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার প্রায়ই বিরোধীদের কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসবাদের সমতুল্য করে উপস্থাপন করেছে। এতে আরও বলা হয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিলেও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে মুক্ত নয়।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়েদার সহযোগী) ও নব্য জেএমবি (আইএসআইএসের সহযোগী) এর বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কথা। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় তিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অনলাইনে উগ্রবাদের উদ্বেগ
প্রতিবেদনে অনলাইনে উগ্রবাদের বিষয়টিকে উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ গোষ্ঠী হিযবুত-তাহরীরের দুই সদস্যকে অনলাইন সম্মেলনের অভিযোগে গ্রেপ্তারের বিষয়টি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা
২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশ কিছুটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পেরেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।