প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ২০:৫৫
মতলব উত্তরে হত্যা মামলায় আটক ইউপি চেয়ারম্যানের রিমান্ড না'মঞ্জুর
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত মোবারক হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের রিমান্ড আবেদন না 'মঞ্জুর করে আসামিকে জেলেগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দিয়েছে আদালত।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মতলব উত্তর আমলী আদালতের বিচারক তন্ময় কুমার দে এই আদেশ দেন। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সাইফুদ্দিন বাবু রিমান্ড না' মঞ্জুর ও জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ আদালতের আদেশের এই তথ্য জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন প্রধান আসামী চেয়ারম্যান কাজী মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত মামলাটির তদন্ত ডিভিশনাল বদলী করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন।
চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, আজকেই মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত দায়িত্ব দিয়েছে। আসামীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন ডিবি পুলিশেল উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আকতার হোসেন।
গত ১৭ জুন বিকেলে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বাহাদুরপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত
সমাবেশে যাওয়ার পথে দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।সেখানে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মোবারক হোসেন (৪৮) নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হয়।
এ ঘটনায় মামলা হলে এজাহারনামীয় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে এবং মতলব উত্তর থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে।
এই ঘটনায় ১৮ জুন নিহত বাবুর ছোট ভাই আমির হোসেন কালু ৩১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।