প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ২৪ ডিসেম্বর। এর আগেই ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটির সম্মেলনের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চাঁদপুর জেলাও রয়েছে। এছাড়া জাতীয় সম্মেলনের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্তের খবরে সারাদেশেই আওয়ামী পরিবারে উৎসবের আমেজ বইছে। চাঁদপুর জেলাও এর বাইরে নয়। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চাচ্ছেন সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসুক।
|আরো খবর
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পর মেয়াদোত্তীর্ণ সকল জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখও নির্ধারণ হতে থাকে। দেশের আটটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদকগণ জেলার সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখের ব্যাপারে মিডিয়ায় জানান দিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের ১৫টা সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি জেলা এবং দুটি মহানগর। এই বিভাগে ১২৯ উপজেলা সমমর্যাদার শাখা কমিটি রয়েছে। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জানান, ৫ নভেম্বর কুমিল্লা মহানগর, ১২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২১ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম দক্ষিণ, ৩ ডিসেম্বর নোয়াখালী এবং ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর এবং ৫ ডিসেম্বর কক্সবাজার আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া চাঁদপুরের সম্মেলন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হবে। আগামী সপ্তাহে নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ হবে। তিনি আরও বলেন, রাঙামাটি জেলা সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। কুমিল্লা উত্তর, ফেনী, চট্টগ্রাম উত্তর, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি।
এদিকে রোববার দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় সম্মেলন নিয়ে এক সভা করে আওয়ামী লীগ। সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন করার জন্য দলীয় সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমরা সমন্বয় করছি। তারা নেত্রীর উপস্থিতিতে সম্মেলন করতে চান। তাঁর সময়সূচির সঙ্গে মিলিয়ে আমরা তারিখগুলো দিয়ে দেবো। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে এই সম্মেলনগুলো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় সম্মেলনের মেয়াদোত্তীর্ণ সব (সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম) সংগঠনের সম্মেলন করে ফেলব। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলনও করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হবে। সব সংগঠনের সম্মেলন হবে।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অক্টোবরে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায়। কিন্তু অক্টোবরে আর সম্মেলন হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী থানা সম্মেলন শেষ হলে জেলা সম্মেলন হবে। এ জন্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও বেশ কয়টি থানা কমিটি সম্মেলন করেনি। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যের বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি আগেই চাঁদপুর কণ্ঠে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিয়েছি। আমি আমার উপজেলার ব্যাপারে বলবো, জেলা সেক্রেটারীর বক্তব্য সঠিক নয়। চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ গত ১ বছর পূর্বে অধীনস্থ সকল ইউনিয়নের ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে। যথারীতি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করে প্রোফাইল দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সম্মেলনের তারিখ চাওয়ার পরও কেনো জেলা আওয়ামী লীগ চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করছে না, এ বিষয় আমার জানা নেই।