প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২২, ২২:০১
৩৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন জেলা স্বেচ্ছা সেবকদলের ৮ নেতা
কারাবন্দির এক মাস ৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আহবায়ক হযরত আলী ঢালী ও সদস্য সচিব কাজী মোঃ ইব্রাহিম জুয়েলসহ চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৮ নেতা। তারা হলেন: জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান ঢালী, মেরাজ আহমেদ চোকদার, শামসুল আলম সূর্য, মাসুদ মাঝি, খোকন মিজি, সদস্য ইয়াসিন। এর ক'দিন আগে মুক্তি পেয়েছিলেন আরেক যুগ্ম আহবায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন শিশু।
|আরো খবর
চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে গতকাল ১৩ জুন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে বের হয়ে আসেন আটক জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বাবুল।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে জামিনের কাগজপত্র সব ঠিকঠাক করে কারাগারে পাঠানোর পর সোমবার সন্ধ্যায় কারাবন্দি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের মুক্তি দেয়া হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের পক্ষ থেকে কারাফটকে উপস্থিত হয়ে কারানির্যাতিত নেতাদের স্বাগত জানান তিনি।
এ সময় কারাফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুনীর চৌধুরী, ফেরদৌস আলম বাবুসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী। তারা কারা নির্যাতিত নেতাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
কারাফটক থেকে বেরিয়েই মুক্তি পাওয়া নেতাদের সাথে নিয়ে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে শহরে প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীসহ প্রবেশ করেন এবং মতবিনিময় করেন।
এ সময় জেলা বিএনপি'র পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জসীম উদ্দীন খান বাবল এবং কারানির্যাতিত নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হযরত আলী এবং কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যতই জেল-জুলুম মামলা-হামলা করুক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথ ছাড়ব না। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতেই হবে। তাদের কারামুক্তির জন্য জেলা বিএনপি'র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম, পৌর বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন মাঝি সহ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী মামলা হয়।
মামলায় আসামিরা আদালতে হাজির হলে, বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারা প্রেরনের নির্দেশ দেন।