প্রকাশ : ৩১ মে ২০২২, ২২:১৯
জিয়াউর রহমান ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ মে) বিকাল ৫ টায় দলীয় কার্যালয়ে উক্ত কর্মসুচি পালন করা হয়।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্ল্যাহ সেলিম সভাপত্বিত্বে ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সেলিমুছ সালাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সদর থানা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন।
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান গাজী পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডঃ মিজানুর রহমান, মোশারফ হাজী, অ্যাডঃ জহির উদ্দিন বাবর, এডভোকেট শামসুল ইসলাম মন্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, পৌর বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের বেপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ উদ্দিন পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহার, জেলা কৃষকদলের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজীসহ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল,কৃষকদল,শ্রমিক দল, ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্লাহ সেলিম তাঁর বক্তব্যে বলেন,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি।জিয়াউর রহমান এমন একজন মানুষ ছিলেন, যার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। কারণ জিয়াউর রহমান এ দেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষক। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার বীরত্বের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছেন। অথচ সেই দলের নেতা-কর্মীরা জিয়াউর রহমানের আজ সমালোচনা করে। অ্যাডঃ সেলিম আরো বলেন, জিয়াউর রহমান কোন দিন হত্যার রাজনীতি করে নাই। শেখ মুজিবকে মারছে খন্দকার মোশতাক। তখন খন্দকার মোশতাক ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী আর সেনাপ্রধান ছিলেন তাদের দলেরই এমপি কেএম শফিউল্লাহ। তিনি বলেন,জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিশ্বের সকল দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করে।এতেই বুঝা যায় জিয়ার নেতার অবস্থান কতটুকু।
তিনি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের জন্য দলের নেতা-কর্মিদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাও. মোঃ জসিম পাটওয়ারী। এ সময় সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জাকির মৃর্ধা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর কর্মসূচি পালন উপলক্ষে সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।