প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২২, ০১:২৩
ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৭ মার্চ ১৯৭১ সালের প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণে দিনব্যাপি আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল সকাল ৯টা ১ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন,জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ,জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
|আরো খবর
এদিন সকালে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোঃ জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারিগণের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী শুরু করা হয়। পরে দূতাবাসে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ তার পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিনটি ছুটির দিন না হওয়ায় কনস্যুলার সেবা প্রত্যাশীদের স্বার্থে দূতাবাসের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রেখে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত টেলিভিশন স্ক্রিনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয় যা বহুসংখ্যক সেবা-প্রত্যাশী প্রবাসী বাংলাদেশি অবলোকন করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোঃ জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৫টা ১০ মিনিট দূতাবাসের সভাকক্ষে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৭ মার্চ ১৯৭১ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদর্শন করা হয়। ঐতিহাসিক এই দিনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে উপস্থিত সকলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এসময় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ভাষণ শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেস্কো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহাসিক’ (World Documentary Heritage) হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’(International Memory of the World Register)-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।