প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০০:০০
হজ এর আভিধানিক অর্থ হলো সংকল্প করা, ইচ্ছা করা, যিয়ারত করা। যিনি স্বাধীন, পথ বিপদমুক্ত, প্রাপ্ত বয়স্ক, দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন, সফরের প্রয়োজনীয় অর্থের মালিক ও যে মহিলার নিরাপত্তার জন্য স্বামী বা অন্য কোন মুহরিম ব্যক্তি রয়েছেন এমন মুসলিম নর-নারীর উপর জীবনে একবার হজ করা ফরয। আল্লাহর বাণী- ‘‘ওয়া আতিমমুল হাজ্জা ওয়াল ওমরাতা লিল্লাহ”- আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা হজ ও ওমরা পালন কর”। (সূরাহ আল বাকারা-আয়াত-১৮৭)। শরীয়তের পরিভাষায় জিলহজ মাসের ৮ তারিখ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে কাবা ঘর তাওয়াফ করাসহ হজের নিয়তে মক্কা নগরীর কতগুলো নির্ধারিত স্থান যিয়ারত করাকে হজ বলে। আল্লাহ তা‘য়ালা বলেছেন- “ওয়া লিল্লাহি ‘আলান্নাছি হিজ্জুল বাইতি মানিসতাতায়া ইলাইহি সাবিলা” আর মানুষের উচিত যাদের সামর্থ আছে আমার গৃহে আসার জন্য সে যেন হজ সম্পাদন করে। (সুরাহ আলে ইমরান, আয়াত-৯৮) আল্লাহ তা‘য়ালা ইব্রাহীম (আঃ) কে হজের নির্দেশ প্রদান করেছেন: “লোক সমাজে হজের কথা ঘোষণা করে দিন। তারা যেন পদব্রজে এবং উটের পিঠে চড়ে দূর-দূড়ান্ত থেকে এসে হাজির হয়, যাতে তাদের কল্যাণ তারা প্রত্যক্ষ করতে পারে”। ( সুরাহ হজ, আয়াত-২৭) মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হজের কথা উল্লেখ করে বলেছেন- ‘‘ স্মরণ কর সে সময়ের কথা যখন আমি কাবা গৃহকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তারস্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়ানোর স্থানকে সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ কর এবং ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আমার গৃহ তাওয়াফকারী, ই‘তিকাফকারী ও রুকু সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখতে আদেশ দিয়েছিলাম।” ( সুরাহ বাকারা, আয়াত-১৯৬), উপরোক্ত আয়াত থেকে প্রমাণ হয় যে, হজের বিধান নতুন নয়। কাবা গৃহ নির্মাণের সময় হতে হজের বিধান চলে আসছে। ইসলামী শরীয়তে হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদাত তাতে কোন সন্দেহ নেই। হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি স্তম্ভ। হজের সাথে হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর ঐতিহাসিক ঘটনাবহুল স্মৃতিবিজরিত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে নিজেকে আত্নসমর্পনের ইতিহাস জড়িত। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য তাৎপর্যমন্ডিত। হজের ফযীলতের ব্যাপারে অসংখ্য হাদীস রয়েছে তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হাদীস হলো: মহানবী সা: বলেছেন: “মান হাজ্জা লিল্লাহি ফালাম ইয়ার ফুছ ওয়া লাম ইয়াসফুক রাজায়া কা ইয়াওমিন ওয়ালাদাতহু উম্মুহু” অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্ঠির উদ্দেশ্যে হজ করেছে এবং হজ সমাপনকালে কোন প্রকার অশ্লীল কথা ও কাজে বা গোনাহের কাজে লিপ্ত হয় নাই, সে সদ্যজাত নিষ্পাপ শিশুর ন্যায় প্রত্যাবর্তন করেছে। (বুখারী-মুসলিম,মিশকাত)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন: “আল ওমরাতু ইলাল ওমরাতি কাফফারাতুল লিমা বাইনামাহুমা ওয়াল হাজ্জুল মাবরুরু লাইছা লাহু জাযায়ুন ইলাল জান্নাতি” অর্থাৎ এক উমরা আদায়ের পর পরবর্তী উমরা আদায় করা ( এই দুই উমরা) মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের জন্য কাফফারা। আর মকবুল হজের (কবুল) সওয়াব জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।(বুখারী-মুসলিম)
কবুল হজ সম্পর্কে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত একটি হাদীসে মহানবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল: “কোন আমল সবচাইতে উত্তম? তিনি বললেন: আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনা। আবার প্রশ্ন করা হল, এটির পর কোন কাজটি? তিনি বললেন: আল্লাহর পথে জিহাদ করা। পূনরায় প্রশ্ন করা হল: এটির পর আর কোন কাজটি? জবাবে তিনি বললেন: হজেজ মাবরুর”।( অর্থাৎ যে হজ আল্লাহ কবুল করে নেন)।(বুখারী-মুসলিম)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি এই পরিমান পাথেয় এবং বাহনের মালিক হয়েছে যা তাকে আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিবে, অথচ সে হজ করে নাই। সে ইহুদী কিংবা নাসারা হয়ে মৃত্যু বরণ করুক, এতে আল্লাহর কিছু আসে যায় না। ( তিরমিযী)।
কারো ওপর হজ ফরজ হওয়া সত্ত্বেও যদি তিনি তা পালন না করেন তবে তিনি ফরজ ত্যাগ করার সমতুল্য গোনাহের শামীল হবেন এবং পরকালে তার জন্য ভীষণ আজাবের সংবাদ দেয়া হয়েছে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি হজের ইরাদা করেছে, সে যেন তাড়াতাড়ি করে। ( আবু দাউদ, দারেমী) হজ ফরয হওয়ার সাথে সাথে আদায় করা ফরয না বিলম্বে আদায় করা ফরয এ ব্যাপারে ইমামগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আযম আবু হনিফা(রহ:) এর মতে, হজ ফরয হওয়ার সাথে সাথেই হজ করতে হবে। দেরী করে আদায় করলে গুনাহগার হবে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, তোমরা হজ তাড়াতাড়ি সম্পাদন করবে। মৃত্যু মানুষের আবশ্যম্ভাবী। তাই হজ ফরয হওয়ার সাথে সাথে আদায় করা উচিত। কেননা সে জানে না আগামী বছর সে বাঁচবে কিনা। ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম মুহাম্মদ(রহ:) এর মতে, হজ বিলম্বে আদায় করলেও চলবে। তবে ইমামদের সর্বসম্মত মতে, হজ ফরয হওয়ার পর মৃত্যুর পূর্বে যে কোন সময় আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে আদায় না করে মৃত্যু বরণ করলে গুনাহগার হবে।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন: “লা সারুরাতা ফিল ইসলামী” অর্থাৎ- হজ না করিয়া থাকা ইসলামে নাই। (অর্থাৎ হজ করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ না করা ব্যক্তি পূর্ণ মুসলিম না।) ( আবু দাউদ)
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত একটি হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেন: “আল্লাহ তা‘য়ালা আরাফাতের দিনেতে বেশিসংখ্যক লোককে দোযখ হতে মুক্তি দেন, যা অন্য কোন দিনে দেন না।” ( মুসলিম)
মহানবী সা: বলেন: “শয়তান আরাফার দিন হতে অধিক লজ্জিত ও অপদস্ত আর কোন দিন হয় না, কেননা ওই দিন আল্লাহ তা‘য়ালা স্বীয় বান্দাদের প্রতি অগণিত রহমত বর্ষণ করেন এবং অসংখ্য গুনাহে কবিরা ক্ষমা করে দেন।” মহানবী (সাঃ) এও বলেছেন, “একটি বিশুদ্ধ ও মকবুল হজ সমগ্র পৃথিবী ও পৃথিবীর যাবতীয় বস্তুগুলোর চেয়ে উত্তম। বেহেস্ত ব্যতীত অন্য কোন বস্ত তার প্রতিদান হতে পারে না।” অপর একটি বর্ণনায় হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা: হতে বর্ণিত একটি হাদীসে পাওয়া যায় মহানবী সা: বলেন: “তোমরা হজ ও ওমরা সাথে সাথেই আদায় কর। কেননা, এই দুই কাজে দারিদ্র ও গুনাহ এমনভাবে দুর করে যেমন হাপর লোহা এবং সোনা-রুপার ময়লা দূর করে দেয়। আর কবুল করা হজের সওয়াব জান্নাত ব্যতীত কিছুই নহে।”(তিরমিযী ও নাসাঈ)
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “আমি প্রশ্ন করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ) মহিলাদের উপর কি জিহাদ ফরজ? তিনি বললেন হ্যাঁ। তবে তাদের উপর এমন জিহাদ ফরজ যাতে সশস্ত্র যুদ্ধ নাই। তাহা হজ ও উমরা( ইবনে মাজাহ)”।
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: “আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, তিন শ্রেণীর লোক আল্লাহর যাত্রীদল, গাযী, হাজী ও উমরাকারী”। (নাসায়ী ও বায়হাকী)
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি হজ, উমরা অথবা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের নিয়তে বাহির হয়েছে, অত:পর সেই পথেই মৃত্যু বরণ করেছেন, তাহার জন্য গাযী, হাজী বা উমরাহকারীর সওয়াব লিখা হবে”। (বায়হাকী) হজের সময় রাসুলুল্লাহর (সাঃ) এর কবর যিয়ারত করাও অত্যন্ত পুণ্যের কাজ। মহানবী (স:) নিজে হজ করছেন এবং হজ করার জন্য সাহাবী কিরামদের উৎসাহিত করেছেন। হজের সময়কালঃ- জিলহাজ মাসের ৭ তারিখ থেকে হজের মূল কাজ শুরু হয় এবং ১৩ জিলহাজ পর্যন্ত শেষ করতে হয়। যিলহজ মাসের প্রথম ১০দিনের আমল হলোঃ- আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করা (সুরা হজ, আয়াত-২৮)। অধিকহারে নেক আমলসমুহ করা। পাপের কাজ না করা। সামর্থবান হলে হজ করা। (বুখারি- মুসলিম) সামর্থবান হলে কুরবানি করা (সুরা কাউছার, আয়াত-২)। কুরবানি ইচ্ছুক ব্যক্তি এই দশ দিন নখ, দাড়ি, চুল ইত্যাদি না কাটা। ( সহীহ মুসলিম) বেশি বেশি তাকবির তাহমিদ ও তাহলীল বলা যথা- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।(বুখারি) আরাফাতের দিন ফজর থেকে ঈদের চতুর্থ দিন অর্থাৎ ১৩ জিলহাজ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর নারী-পুরুষ সকলে একবার করে উক্ত তাকবীর পাঠ করা। (বুখারি) আরাফাতের দিনে রোজা রাখা। ঈদের সালাত আদায় ও ঈদের সুন্নাত আমলসমুহ পালন করা। হজের ফরজ কাজসমুহঃ- ইহরাম বাধা (নিয়ত করা), আরাফাতের ময়দানের অবস্থান করা, তাওয়াফে যিয়ারত করা বা কাবা ঘর ৭ বার প্রদক্ষীণ করা হলো হজের ফরয।
এই তিনটি কাজের কোন একটি কাজ বাদ পড়লে হজ হবে না। অপরদিকে মুযদালিফায় অবস্থান করা, সাফা-মারওয়া পাহাড় সায়ী করা, মিনায় পাথর নিক্ষেপ করা, তাওয়াফে সদর বা বিদায়ী তাওয়াফ করা এবং মাথার চুল মুন্ডন করা হলো হজের ওয়াজিব কাজ । এর কোন একটি বাদ দিলে একটি দম (জন্ত কুরবানী) দিতে হবে। হজ তিন প্রকার: ইফরাদ, তামাত্তো ও কিরান। ইমাম শাফেয়ী ও মালেক (রহ:) এর মতে, হজে ইফরাদ উত্তম, মীকাত হতে শুধু হজের উদ্দেশ্যে ইহরাম (নিয়ত) করাকে ইফরাদ হজ বলে। ইমাম আহমদ (রহ:) এর মতে, হজে তামাত্তু উত্তম, হজ ও ওমরাহর জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত করে পৃথক পৃথকভাবে হজ ও ওমরাহর কাজ সমাধান করাকে তামাত্তু হজ বলে। ইমাম আযম আবু হানিফা (রহ:) এর মতে, হজে কিরান উত্তম, মীকাত হতে এক ইহরামে (নিয়ত) প্রথমে ওমরা সম্পাদন করে একই ইহরামে হজের কাজ শেষ করাকে কিরান হজ বলে। হজে কিরান তুলনামূলকভাবে কঠিন। আর যে কাজে কষ্ট বেশী, সে কাজের সওয়াবও বেশী। বিদায় হজে মহানবী(সাঃ) কিরান হজ করেছেন।
একজন মুসলিম হজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভ করে। আল্লাহর আহবানে সাড়া দিয়ে কাবায় সমবেত হয়। আদালতে আখিরাতে আল্লাহর দরবারে সমাবেত হওয়ার পূর্বেই দুনিয়াতে এক পবিত্র সমাবেশে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার প্রেরণা যুগায়। ফলে হজ সম্পাদনের মধ্য দিয়ে মুসলিম জতি আধ্যাত্বিক শান্তি ও স্বস্তি লাভ করে। আল্লাহ তা‘য়ালার অসংখ্য নিয়ামত, কুদরাত ও ক্ষমতা ও আরবভূমির নিদর্শনসমূহ দেখে তার অন্তরে আল্লাহভীরু হওয়ার বিপুল প্রেরণা ও উৎসাহ জন্মায়। সাম্যবাদী চিন্তা, মানবিক মর্যাদা ও মানসিকতার বিকাশ ঘটায়। এ আন্তর্জাতিক মহসম্মেলনে বিশ্ব মুসলিম উপস্থিত হয়ে তাদের বার্ষিক কার্যকলাপ মূল্যায়ন করে পরবর্তী বছরের কর্মসূচি প্রণয়ন করে থাকে। মুসলিম জাতির মধ্যে পারস্পারিক সমস্যাগুলো অত্যন্ত আন্তরিকতার পরিবেশে সমাধানের পথ তৈরী করে দেয় হজ। অপর ভাইকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রবণতা গড়ে উঠে। সে শুধু পশু কুরবানী করে না। তার মধ্যে যে ষড়রিপু আছে তা কুরবানী করে হৃদয় মনে প্রফুল্লতা বয়ে আনে।
এ ভাবে সে ক্ষুদ্র ত্যাগ থেকে সে বৃহত্তর ত্যাগের প্রশিক্ষণ পায়। হজ পৃথিবীর সকল অঞ্চল, গোত্র, বর্ণ, ভাষার মুসলিমদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার শিক্ষা দেয়। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক জীবন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হজ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। হজ মুসলিম জাতিকে ঐক্য, সৌহার্দ্য, সাম্য, মৈত্রী, সমতা, একতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। এ সময়ে মানুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ থাকে না। আরাফাতের ময়দানে ধনী-গরীব, রাজা-বাদশাহ, ফকির-মিসকিন, সাদা-কালো সব শ্রেণীর মানুষ একত্র হয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইবাদাত করে থাকেন। হজের মাধ্যমে একটি সুন্দর প্রশিক্ষণ লাভ করে মুসলিম জাতি পরিশুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে। আল্লাহ তা‘য়ালা আমাদেরকে হজের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ ও পরিপূর্ণ সওয়াব প্রদানের তাওফীক দান করুন। আমিন।
লেখক : ড. মোঃ আব্দুল গাফফার মল্লিক, অধ্যক্ষ, পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।