বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

মানবীয় ত্রি-গুণ
অনলাইন ডেস্ক

পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা ৭.৮৮৮ বিলিয়ন। আর স্থলচর, জলচর, পবন চর, খেচর ইত্যাদি প্রাণীর সংখ্যা অনির্ণীত আছে এবং থেকেও যাবে। ১৯৭৪ সালের প্রথম আদমশুমারীতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ৭ কোটি। ২০২৩ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ কোটিতে। এই গণ-বিস্ফোরণের সাথে সাথে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অপযশটিও অর্জন করে নিয়েছে। প্রতিদিন অগণিত সংখ্যক জীবজন্তু যমের ঘরে যায় আবার ধরাধামে ভূমিষ্ঠও হয়। অবশিষ্ট যারা আশার ছলনে বেঁচে থাকে তাদের ধারণা, বেঁচে আছি এবং থাকবো। এটাই পৃথিবীর সর্বাশ্চর্য বিষয়। তখন জীবিতরা ভাবে না মৃত্যুই সত্য এবং অনিবার্য। তাই মানুষকে ভাবতে হয় হাসি-আনন্দই আকস্মিকতা, কিন্তু জীবনে দুঃখণ্ডবেদনা, চাওয়া না পাওয়াটাই নৈমিত্তিক মাত্র। অপ্রবাসে অঋণী থেকে যার কাল কেটে যায় এবং মধ্যাহ্নে শুধু শাকান্ন ভোজিত হয়, তথাপি সেজনই একমাত্র সুখী ব্যক্তি সর্বচরাচরে। হাতের কাছে পড়ে থাকা করণীয় কাজটি সুসম্পন্ন করাই হলো উৎকৃষ্ট দায়িত্ব এবং পবিত্র কর্তব্য।

জীবোত্তম মানুষের মধ্যেই আছে আত্মোপলব্ধিতা, যৌক্তিকতাবাদিত্ব এবং ঔদার্য, যা অন্য কোনো প্রাণীর সাথেই উপম্য নহে। এই ত্রিগুণাতীত মানবই অতিমানবীয় গুণসম্পন্ন। উল্লেখিত ত্রি-গুণ বর্জিত মানুষই পাশব বৃত্তিতে দক্ষ এবং সামাজিক দূষণের ছোঁয়াচে অণুজীব। মানব জীবনের স্বাভাবিকত্ব এই ঘৃণিত ও ধিকৃত নরপশুরাই সামাজিক দৃঢ় কাঠামোর মধ্যে ঘুন পোকা স্বরূপ।

এখনকার ডিজিটাল যুগের স্মার্ট অধ্যায়ে এসে অনেকটাই অযথা দায়িত্ব-কর্তব্যের খাতিরে মানুষ স্মার্ট হয়ে গেছে। যে স্মার্টনেস শুধু খুন-ধর্ষণ, অপহরণ, ঘুষ, পরকীয়া এবং নিয়োগ বাণিজ্যের মধ্যে চক্রাকারে আবর্তন করছে। অনেক নিষিদ্ধ ঘোষিত সরকারি প্রজ্ঞাপনের তোয়াক্কা না করে মানুষকে মারাত্মক ভাবে হয়রানির নির্মম শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন অফিসে। উৎকোচের বিনিময়ে অনেক তথাকথিত নিষিদ্ধ কানুন বে-মালুম সিদ্ধ হয়ে যায়। এ যেন দেখার কেউ নেই। এই উৎকট ছোঁয়াচে ঘুষ রোগটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অমানবিকতার চূড়ায় অবতরণ করেছে। শহিদ মুক্তিযোদ্ধার রক্ত-স্নাত বাংলাদেশটি কলঙ্কিত দুর্নীতিতে ঋণাত্মক প্রভাবককে যেন প্রভাবিত করে। তা হলেই দেশ ও জাতির মঙ্গল হবে।

বিমল কান্তি দাশ : কবি ও প্রবন্ধকার; অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক, বলাখাল যোগেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজ, বলাখাল, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়