বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক

প্রিয় মুসলিম উম্মাহ! আবারও অবারিত কল্যাণের বার্তা নিয়ে মাহে রমাদানের আগমন। যা ইবাদতের বিশেষ মৌসুম। যে মাসে আল্লাহ তা’আলা নেক আমলের সাওয়াব সীমাহীন বৃদ্ধি করে দেন এবং দান করেন অফুরন্ত কল্যাণ। উন্মুক্ত করেন কল্যাণের সকল দ্বার। নেক কাজে আগ্রহী ব্যক্তির জন্য এ মাস কুর‘আন নাযিলের, কল্যাণ ও বরকতের মাস। পুরস্কার ও প্রতিদানের মাস। জাহান্নাম থেকে নাজাত ও জান্নাত লাভের মাস। ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস।

সম্মানিত মুসলিম উম্মাহ! আত্মার পরিশুদ্ধি, আধ্যাত্মিক উন্নতি, মানবিক মমতাবোধের বিকাশ, তাকওয়া ও সততা অর্জনের জন্য সকল যুগের সকল বিশ্বাসী মানুষের অন্যতম প্রধান অবলম্বন হলো সিয়াম। রমাদানের সিয়াম ফরয ও ইসলামের রুকন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম লিপিবদ্ধ (ফরয) করা হয়েছে; যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর তা লিপিবদ্ধ (ফরয) করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা-১৮৩)

‘রমজ’ শব্দের অর্থ জ্বালিয়ে দেওয়া, দহন বা দগ্ধীভূত করা। অর্থাৎ মাহে রমদানে একজন মুমিন ক্ষুধা, ত্যাগ ও সংযমের আগুনে দগ্ধীভূত হয়ে খাটি ইমানের পরিচয় দিবেন। স্বর্ণ যেমন আগুনে পুড়ে তার নিখুততার পরিচয় দিতে হয়, তেমনি একজন মুমিন ত্যাগ, ক্ষুধা ও সংযমের আগুনে দগ্ধীভূত হয়ে তার খাঁটি ঈমানের পরিচয় দিতে হয়।

এ মাস রহমত, মাগফিরাত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের নিকট রমাদান উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের উপর আল্লাহ তা’আলা অত্র মাসের সাওম ফরজ করেছেন। এ মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, অবাধ্য শয়তানদের গলায় লোহার বেড়ি পরানো হয়। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি সে রাত্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেলো সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেলো। (নাসাঈ)

সুতরাং মাহে রমাদান আমাদের জন্য সকল কল্যাণ, বরকত ও মাগফেরাতের ফয়গাম নিয়ে এসেছে। এটি কুরআন নাযিলের মাস। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘রমাদান মাস, যাতে নাযিল হয়েছে আল কুর‘আন, যা বিশ্ব মানবের জন্য হেদায়াত, সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ এবং হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। (সূরা বাকারা-১৮৫)

রমানের সিয়ামের তাৎপর্য ও ফযিলত:

তাকওয়া অর্জন-

মাহে রমাদানের সিয়াম সাধনার মূলকথা হলো, এ সিয়াম একজন মুমিনকে সকল অন্যায়, পাপ তথা গুনাহমুক্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে তুলবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম লিপিবদ্ধ (ফরয) করা হয়েছে; যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর তা লিপিবদ্ধ (ফরয) করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার (সূরা বাকারা-১৮৩)। আর তাকওয়া হলো আল্লাহ তা’আলার নিকট জবাবদিহিতার ভয়ে সকল অন্যায় ও পাপাচার ত্যাগ করা। তাইতো সিয়াম সাধনার করে পাপ ও অন্যায় থেকে বিরত না হলে সে সিয়াম কোন উপকারে আসবেনা। রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা, গীবত ও ঝগড়া-ঝাটি পরিহার করলো না তার ক্ষুৎ পিপাসায় আল্লাহ তা’আলার কিছুই যায় আসে না (সহিহ বুখারি-১৯০৩)।

সিয়াম সাধনা মানুষের পাপ মোছনের একটি উত্তম মাধ্যমণ্ড

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সাওয়াবের আশায় রমজানে সিয়াম পালন করবে তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে (বুখারী ও মুসলিম)। অর্থাৎ আল্লাহর উপর ঈমান ও সিয়াম ফরজ হওয়াকে সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করার সাথে সাথে সিয়ামের প্রতিদান প্রাপ্তির আশায় এ বিধান করলেই কেবল উপযুক্ত ফজিলত পাওয়া যাবে। সিয়াম ফরজ হওয়াতে বিরক্ত হওয়া এবং সিয়ামের পুরস্কারের ব্যাপারে কোনরূপ সন্দেহ পোষণ করা যাবে না। এভাবে সিয়াম পালন করলেই আল্লাহ তা’আলা অতীতের পাপ সমূহ মার্জনা করে দেবেন।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এক জুম’আ থেকে আরেক জুম’আ, এক রমজান থেকে আরেক রমজান পর্যন্ত মধ্যবর্তী গুনাহ সমূহের কাফফারা স্বরূপ যখন কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে (মুসলিম)।

হযরত আবু সাইদ খুদরি (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজার হক ও আদব রক্ষা করে যথাযথভাবে রোজা রাখে, আল্লাহ তা’আলা তার পেছনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন (মুসনাদে আহমদণ্ড১৫৫২৪)।

সিয়াম পালনকারীকে সীমাহীন প্রতিদান দেওয়া হবে-

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন- সিয়াম ছাড়া আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য আর সিয়াম শুধু আমার জন্য। আর আমি এর প্রতিদান দেবো। সিয়াম ঢাল স্বরূপ। যদি তোমাদের কেউ সিয়াম পালন করে, তাহলে সে যেন অশ্লীল কথা না বলে, যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে দ্বন্ধে লিপ্ত হয়, তবে সে যেন বলে আমি সিয়াম পালনকারী (বুখারী ও মুসলিম)।

ইমাম আহমদ (র.) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, সিয়াম ঢাল স্বরূপ। যার দ্বারা সিয়াম পালনকারী নিজেকে জাহান্নাম হতে বাঁচাতে পারে।

আল্লাহ তা’আলা নিজেই সিয়ামের প্রতিদান দেবেন-

সিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি খুশি রয়েছে। প্রথমটি ইফতারের সময়। দ্বিতীয়টি (জান্নাতে) রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। ইফতারের সময় খুশি হচ্ছে আল্লাহ তা’আলা তাকে সিয়ামের মত একটি উত্তম ইবাদত করার সওয়াব দিয়েছে। রবের সাথে সাক্ষাতের খুশি হচ্ছে আল্লাহ তা’আলা তাকে সেদিন পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন। বলবেন সিয়াম পালনকারীগণ কোথায়? তোমরা রাইয়ান রামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ কর। যে দরজা দিয়ে সিয়াম পালনকারী ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবে না।

সিয়াম পালনকারীর জন্য সিয়াম নিজেই সুপারিশ করবে-

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সিয়াম ও কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। সিয়াম বলবে, হে আল্লাহ আমি তাকে পানাহার ও যৌনাচার হতে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কুরআন বলবে, হে আল্লাহ আমি রাতের ঘুম থেকে তাকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। রাসূল (সাঃ) বলেন, উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে।

রোজা জাহান্নামকে দূরে সরিয়ে দিবে-

আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে বান্দা আল্লাহর রাস্তায় একটি সিয়াম পালন করবে আল্লাহ তা’আলা তার চেহারাকে এদিনের (সিয়ামের) বিনিময়ে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ বছরের পথ দূরে রাখবেন (সহীহ মুসলিম)।

রমদানের বরকত থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি সত্যিই হতভাগা-

হযরত কা’ব ইবনে উযরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সবাইকে মিম্বরের কাছে গিয়ে বসতে বললেন। আমরা গিয়ে বসলাম। তিনি প্রথম সিঁড়িতে উঠার সময় বললেন ‘আমিন’। দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠার সময় বললেন ‘আমিন’। অতপর তৃতীয় সিঁড়িতে উঠার সময় বললেন ‘আমিন’। এবার রাসূল (সাঃ) মিম্বর হতে নামার পরে আমরা বললাম, আজকে আমরা আপনাকে এমন কিছু বলতে শুনলাম যা আগে কখনও শুনিনি। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, জিবরাইল (আ.) আমার কাছে আসার পর বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক- যে রমজান পাওয়ার পরও তার গুনাহ মাফ হয়নি। তখন আমি বললাম ‘আমিন’। আমি দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠার পর তিনি বললেন- ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার কাছে আপনার কথা আলোচনা হওয়ার পরও সে দরুদ পড়ে না, তখন আমি বললাম ‘আমিন’। আমি তৃতীয় সিঁড়িতে উঠার পর তিনি বললেন- ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে তার পিতা-মাতাকে বা একজনকে পেয়েও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলো না, আমি বললাম ‘আমিন’ (আল মুজামুল কাবির-৩১৫)।

রমজানে সিয়ামের বিষয়ে একটি সারগর্ভপূর্ণ হাদিস-

হযরত সালমান ফারসি (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শাবানের শেষ দিন আমাদেরকে একটি ভাষণে বললেন, হে লোক সকল! তোমাদের কাছে একটি মহান ও বরকতময় মাস আগমন করেছে। এই মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার রাতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এ মাসের রোজাকে আল্লাহ ফরজ করেছেন আর রাতে নামাজ পড়াকে করেছেন নফল। কেউ এ মাসে একটি নফল আদায় করলে অন্য সময়ের ফরজ আদায়ের সওয়াব পাবে। আর একটি ফরজ আদায় করলে অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান হবে। এ মাস ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের প্রতিদান হলো জান্নাত। এটা সমবেদনার মাস। এ মাসে মু’মিনের রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় তাহলে এ কারণে তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। জাহান্নাম থেকে নিস্কৃতি পাবে। এমন রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব তাকে দেওয়া হবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমাদের সবাইতো রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ রাখে না। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, কেউ এক ঢোক দুধ, একটি খেজুর অথবা শুধু পানি দ্বারা ইফতার করালেও আল্লাহ তা’আলা তাকে এ পরিমাণ সওয়াব দিবেন। আর কেউ যদি রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ায় তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাকে হাউজে কাউসার হতে পান করাবেন। আর সে জান্নাতে প্রবেশ করানোর আগে পিপাসার্ত হবে না। এ মাসের প্রথমাংশ রহমত, দ্বিতীয়াংশ মাগফিরাত আর শেষাংশ জাহান্নাম হতে মুক্তির। যে ব্যক্তি এ মাসে তার কর্মচারীদের উপর দয়া করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন এবং জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দিবেন (সহিহ ইবনে খুজাইমা-১৮৮৭)।

উম্মতে মুহাম্মদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য: হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আমার উম্মতকে মাহে রমাজানে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে যা পূর্ববর্তী কোন উম্মতকে দেওয়া হয়নি।

(১) সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহ তা’আলার নিকট মেশকের সুঘ্রাণ থেকেও অতি উত্তম।

(২) ইফতারের পূর্ব পর্যন্ত ফেরেশতাগণ সিয়াম পালনকারীর জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকেন।

(৩) আল্লাহ তা’আলা প্রতিদিন সিয়াম পালনকারীর জন্য জান্নাতকে সুসজ্জিত করে বলেন, আমার নেককার বান্দাগণ কষ্ট স্বীকার করে অতি শীঘ্রই তোমাদের নিকট আসছে।

(৪) বিতাড়িত শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, ফলে তারা অন্য মাসের ন্যায় এ মাসে মানুষকে গোমরাহীর পথে নিতে পারে না।

(৫) রমজানের শেষ রজনীতে সিয়াম পালনকারীদের মাফ করে দেওয়া হয়। আরজ করা হয়, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! এই ক্ষমা কি ক্বদরের রাতে করা হয়? উত্তরে রাসূল (সাঃ) বলেন, না বরং কোন শ্রমিককে তার বিনিময় তখনই দেওয়া হয় যখন সে কাজ শেষ করে (আহমাদ)।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজার উপকারিতাণ্ড

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে যে, প্রতিমাসে কিছু দিন রোজা রাখা দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ২০১৬ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন জাপানের অটোপেজি গবেষক ইয়োশিনোরি ওহোশোমি। অটোপেজি মানে আত্মবক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে পেলা। অর্থাৎ রোজা রাখার সময় একজন মানুষের দেহের সক্রিয় কোষগুলো নিষ্কৃয় না থেকে সারা বছর শরীরে তৈরী হওয়া ক্ষতিকর কোষগুলোকে খেয়ে (খাবারের অভাবে) শরীরকে সুস্থ্য করে (সুবহানাল্লাহ)।

আসুন আমরা মাহে রমাদানের সিয়ামকে যথাযথভাবে রাখার চেষ্টা করি। রমদানের পবিত্রতা রক্ষাকরি। সিয়াম, কিয়াম (তারাবিহ), কুর‘আনুল কারীমকে তিলাওয়াত করি। নিজের জীবনকে ক্ষমা, রহমত ও বরকতের ফাল্গুধারায় ভূষিত করি।

নূর মোহাম্মদ, প্রভাষক (ইসলাম শিক্ষা), বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ, বলাখাল, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়