প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:১৭
কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৬ জনের করুণ পরিণতি, কী ঘটেছিল টোল প্লাজায়

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ছয়জন। এ মর্মান্তিক ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হন। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া মুহূর্তগুলো ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যা জনমনে গভীর শোক ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটে সকাল ১১টা ৬ মিনিটে। টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় দ্রুতগামী বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়ির ভেতরে এক ব্যক্তির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় একই পরিবারের চারজনকে ঢাকায় নেওয়ার পথে একে একে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতদের পরিচয়:
মৃতদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য। তারা হলেন ৪৫ বছর বয়সী আমেনা বেগম, তার দুই মেয়ে ২৬ বছরের ইমি ও ৭ বছরের রিহা, এবং নাতি ৭ বছরের আয়াত। নিহত অন্য শিশুটির নাম আব্দুল্লাহ। তারা ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনার কারণ:
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ জানিয়েছেন, বাসটি টোল প্লাজায় প্রবেশের আগে গতি কমায়নি বা ব্রেক করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানি জানান, বাসচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন নাকি কারিগরি ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
তদন্ত ও পরবর্তী ব্যবস্থা:
হাসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরানোর কাজ শেষ করেছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে আটক বা চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। দ্রুতগতির যানবাহন ও টোল প্লাজায় সতর্কতার অভাবই এই ধরনের দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।