সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারণা নেই কেন?

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারণা নেই কেন?
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এ.কে.এম. মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, নিকট অতীতে করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। সে মহামারিতে আমাদের দেশে অনেক মানুষ মারা গেছেন। সরকারের নানা উদ্যোগ এবং জনগণের সম্মিলিত সচেতনতায় আমরা করোনা মহামারিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করেছি। তেমনিভাবে সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গু মহামারিও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ডাঃ মাহাবুবুর রহমান গত ১৩ নভেম্বর রোববার সামাজিক সংগঠন ‘আপনে’র উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাঁদপুর শহরে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারণা কর্মসূচি উদ্বোধন করতে গিয়ে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

আমাদের জানা মতে, চাঁদপুর শহর কেনো, চাঁদপুর জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ‘আপন’ ছাড়া অন্য কেউ সচেতনতামূলক কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। অথচ এই ডেঙ্গু বর্তমানে করোনার চেয়ে ভয়াবহরূপে ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ও বিভাগীয় শহর সহ দেশের সর্বত্র। প্রতিদিন দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার অনেক কমে আসলেও ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার অনেক বেড়েছে, যা রীতিমত আতঙ্কদায়ক। অথচ এ ব্যাপারে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের ঔদাসীন্য প্রশ্নবোধক।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বাড়লে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় সরকারের আওতাধীন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এ ব্যাপারে প্রচারণা ও সচেতনতামূলক ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। কিন্তু ২০২২ সালে গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছাড়া ধারাবাহিক অন্য কোনো কর্মসূচি বা কার্যক্রম দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মশক নিধনের যে রুটিন কার্যক্রম, তাতে ডেঙ্গু মশা নিধন হচ্ছে না। কারণ, ডেঙ্গু মশা বাসা-বাড়ির অভিজাত পরিবেশে বংশ বিস্তার করে, সেজন্যে বাসা-বাড়ির বাসিন্দাদের ব্যাপক সচেতন না করলে এই মশার বংশ বিস্তার রোধ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ অনেকাংশেই অসম্ভব।

করোনা চিকিৎসার চেয়ে ডেঙ্গুর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবার পর যে শারীরিক ধকল পোহাতে হয় এবং আবশ্যিকভাবে হাসপাতালে থাকতে হয় ও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, করোনায় আক্রান্ত সব রোগীর ক্ষেত্রে সেটি করতে হয় না। অথচ সেই ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগসহ অনেকেই উদাসীন। এই উদাসীনতায় পরিস্থিতি কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে, সেটা ভেবে দেখার বিষয়।

‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর’ (রোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ বেশি ভালো) এই প্রবাদ বাক্যটি সর্বাংশে সত্য। কিন্তু এ সত্যটি করোনা, ডেঙ্গুসহ নানা মহামারীর ব্যাপকতায় হাসপাতালে ঠাঁই না পাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হলেই কেবল সংশ্লিষ্ট সকলের উপলব্ধি করা সম্ভব, এর আগে নয়। সেজন্যে উদাসীনতা পরিহার ও সময়োচিত উপলব্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়