প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে এক ইঞ্চি পরিমাণ জমিও যাতে অনাবাদী না থাকে সেজন্যে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানকে বাস্তবে রূপ দিতে হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদী প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর মতো সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ সরকারের কৃষি বিভাগ এবং সকল পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগণ এমন উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, সে প্রত্যাশায় যখন আমরা ভুগছিলাম, তখনই গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে মন খারাপ করার মতো একটি সংবাদ দেখতে পেলাম।
চাঁদপুর কণ্ঠের কচুয়া ব্যুরো ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সংবাদটি পরিবেশন করেছেন। ‘বিপাকে কৃষকরা : কচুয়ায় জলাবদ্ধতার কবলে ২ হাজার একর ফসলি জমি’ শীর্ষক সংবাদে তিনি লিখেছেন, কচুয়া উপজেলার ঘুরগার বিলের মাঝে সাচার হতে চান্দিনা উপজেলার কংগাই পর্যন্ত ক্ষিরাই নামক ছোট নদীর পাড় দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। অপরদিকে উক্ত বিলের কচুয়া অংশে প্রায় মাঝামাঝি স্থানে ওই ক্ষিরাই নদীর সাথে সংযোগ ছিলো রাগদৈল খালের। এই সংযোগস্থলের মুখে মাটি দ্বারা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় এখন আর রাগদৈল খাল দিয়ে ঘুরগার বিলের উত্তর-পশ্চিমাংশের পানি ক্ষিরাই নদীতে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে করে ঘুরগার বিলের উত্তর-পশ্চিম অংশে প্রায় দুই হাজার একর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কবলে। যার পরিণতিতে এতোটা বিপুল পরিমাণ জমিতে চলতি রবি মৌসুমে আলু, সরিষা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, ভুট্টা ইত্যাদি ফসলের আবাদ করা সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে কৃষকরা জানান।
এই জলাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে পেরে কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন সরেজমিনে বিলটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারলে স্থানীয় কৃষকরা প্রায় দুই হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করতে সক্ষম হবেন। আমি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। শীঘ্রই এই সমস্যাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণ অনুসন্ধান করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
অপরিকল্পিত সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করায় কচুয়ার দুই হাজার একর ফসলি জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হবার আশঙ্কা যে তৈরি হয়েছে সেটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ নেই। সেজন্যে ইউএনও মহোদয় কালক্ষেপণ না করে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত অবগত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণ অতীব জরুরি বলে আমরা মনে করি। ভুক্তভোগীদের মনের কথা একটাই, যেভাবেই হোক এই জলাবদ্ধতা দূর করতেই হবে।