প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৮
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এমন অভিযান চলতে থাকুক
মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর বাহেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে দুটি ড্রেজার ও দুটি বাল্কহেডসহ ১৮জন দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর বুধবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বাহেরচর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন ও মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান। গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি বরিশাল, ভোলা, খুলনা, রাঙ্গামাটি ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
|আরো খবর
অভিযানে অংশগ্রহণকারীও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হেদায়েত উল্যাহ জানান, সরকারের কোনো অনুমতি ছাড়াই দুষ্কৃতকারী লোকজন মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করেছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে কোস্টগার্ড মোহনপুর আসলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মোহনপুর ফাঁড়ি হেফাজতে রাখা হয়। তাদের সকল তথ্য যাচাই বাছাই শেষে চাঁদপুর আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আমরা মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানের জন্যে তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে এই অভিযানের ধারাবাহিকতা অনিবার্য। যেহেতু বালুদস্যুদের লোভনীয় স্পট হচ্ছে মোহনপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীর বিস্তৃত এলাকা, সেহেতু এই এলাকায় কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল কিংবা এখানে একটি আউটপোস্টের ব্যবস্থা করে মোহনপুরের নৌপুলিশকে শক্তিশালী করা দরকার, যাতে তারা বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে নিরাপোষ ধারাবাহিক সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে পারে। একই সাথে নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ডের কেউ বালুদস্যুদের সাথে যোগসাজশ রক্ষা করে তাদের অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রকাশ্য-গোপন সহায়তা করে কিনা সে ব্যাপারে নিবিড় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো দরকার এবং সেমতে ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি বলে আমরা মনে করি।