প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:১২
করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
সারাদেশে করোনায় মৃত্যু ৫১ জন, শনাক্ত ১৮৭১ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে। বেড়েছে শনাক্তের হারও। এ সময়ে মারা গেছেন ৫১ জন, যা গতকালের চেয়ে ৩ জন বেশি। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর) রোগী শনাক্তের দৈনিক হার ছিল সাত দশমিক তিন। যা আজ বেড়ে হয়েছে সাত দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৭১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হওয়া এক হাজার ৮৭১ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫১ জনকে নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ২৬ হাজার ৯৩১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৫৮৬ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮২১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৫ হাজার ১১২টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ৭৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৯২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫২টি. আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার সাত দশমিক ৪৬ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫১ জনের মধ্যে পুরুষ ২২ জন আর নারী ২৯ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৩৫৮ জন আর নারী ৯ হাজার ৫৭৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আট জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন একজন করে, খুলনা বিভাগের ৯ জন আর সিলেট বিভাগের আছেন ছয় জন। ৫১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৩ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে আট জন।