প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৪
ডিম ছেড়ে দেয়া ইলিশ নিয়ে চলছে গবেষণা
রিপোর্ট প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়
প্রজননের জন্যে সাগর থেকে নদীতে আসা ইলিশ নিয়ে প্রতিবছরই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আর এই কাজটি করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের গবেষকরা। এ বছরও পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন জেলার প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদীতে ইলিশসহ যে কোনো ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো। নিষেধাজ্ঞার সময় এবং বর্তমানে চলছে ইলিশ গবেষণা কার্যক্রম। ৪ নভেম্বর সোমবার সকাল ৮টায় সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মাছের আড়তে ডিম ছেড়ে দেয়া ইলিশের পরিমাপ করতে দেখা যায় মৎস্য বিজ্ঞানী ও একজন গবেষণা সহকারীকে।
|আরো খবর
পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার পর জেলেরা সরাসরি নিয়ে আসে এই আড়তে। যে কারণে ইলিশের প্রকৃত অবস্থান জানার জন্যে উপযুক্ত স্থান হিসেবে হরিণা ঘাটকে নির্ধারণ করেছেন মৎস্য গবেষকরা। এই ঘাটে প্রায় ১০টি আড়তে ইলিশ বিক্রি হয়। জেলেদের ধরে আনা ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের ইলিশের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও ওজন পরিমাপ করেন তারা। কী পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে, কী পরিমাণ ডিমসহ ধরা পড়ছে, ছোট সাইজের ইলিশ ডিম ছাড়ছে কিনা তাও জরিপ করা হচ্ছে।
হরিণা মাছঘাটে প্রায় এক ঘণ্টা ইলিশের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিজভী কায়সার ও গবেষণা সহকারী আব্দুস সালাম। জানা গেছে, প্রতি বছর এই সময়ে মতলব উত্তর উপজেলা থেকে শুরু করে সদর ও হাইমচর উপজেলার নদী উপকূলীয় এলাকার আড়তগুলোতে এই জরিপ কার্যক্রম চলে। গবেষণার জন্যে নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষকরা তাদের নিজস্ব জাহাজে করে অভয়াশ্রম এলাকায় নিজস্ব ইলিশ মাছ ধরার ফাঁদ দিয়ে ইলিশ ধরে গবেষণা কার্যক্রম করেন।মৎস্য বিজ্ঞানী রিজভী কায়সার বলেন, আজকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, হরিণা ফেরিঘাট ও হাইমচরের কয়েকটি আড়তে ইলিশের অবস্থান সম্পর্কে জরিপ করা হচ্ছে। আমাদের এই কাজের ফলাফল সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার অনুমতি নেই। তবে এই কার্যক্রমের ফলাফল আমাদের প্রধান মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে। তারপর এটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।