প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ০০:২৮
ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ আরটি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার বছরপূর্তি
এক বছরে নমুনা পরীক্ষা ৩১ হাজার ৬৮॥ পজিটিভ ৫ হাজার ৭শ’ ১৩
চাঁদপুরে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২৭ জুলাই। ২০২০ সালের এইদিনে চাঁদপুরে ‘ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ আরটি পিসিআর ল্যাব’ নামে করোনা টেস্টের এই ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠা হয়। চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার কদমতলা এলাকায় ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় এর নিজস্ব স্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই ল্যাবরেটরী। গত বছরের ২৭ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। কোটি টাকার উপরে ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত এই ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠায় ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের দুই সন্তান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু এই দুইজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং অবদান ছিল অসামান্য। তাঁদের দুজনের সঞ্চিত বিপুল অংকের অর্থ এখানে তাঁরা ব্যয় করেছেন সম্পূর্ণ জনস্বার্থে। চাঁদপুরবাসীর কল্যাণে তাঁদের এই ত্যাগ। তখন এর জন্যে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম ভ্যাটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। ল্যাবটি উদ্বোধনের দিন থেকে টানা একমাস চট্টগ্রামের এই ইউনিভার্সিটির টিম এখানে দায়িত্ব পালন করেছে। এরপর থেকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ সমন্বয়ে এই ল্যাবে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ তথা করোনা টেস্টের কাজ চলছে।
|আরো খবর
প্রতিষ্ঠার পর থেকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এই ল্যাবরেটরী। উদ্বোধনী দিন থেকেই এখানে করোনার নমুনা টেস্ট শুরু হয়। ২৭ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত এই এক বছরে ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ আরটি পিসিআর ল্যাবে ৩১ হাজার ৬৮টি স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পজিটিভ শনাক্ত হয় ৫৭১৩ জনের। শনাক্তের হার ১৮.৩৮ শতাংশ। চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানায়।
চাঁদপুরে এই ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠার আগে চাঁদপুরের স্যাম্পল ঢাকা পরীক্ষা করা হতো। তখন রিপোর্ট আসতে ৬/৭ দিন এমনকি দশদিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতো। এতে পরীক্ষার গুণাগুণ ঠিক থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠত। তাছাড়া স্যাম্পল দিয়ে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো রিপোর্ট পাওয়ার জন্যে। চাঁদপুর জেলাবাসীর এই সমস্যা এবং ভোগান্তি দূর হলো এই ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। এটির এক বছর পূর্তিতে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ জামাল সালেহ উদ্দিন, ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং ল্যাবের ইনচার্জ ডাঃ খালেদ মোশাররফ হোসাইন সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
চাঁদপুরের গণ্যমান্য সচেতন মহল তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, জনপ্রতিনিধিসহ সকলেই প্রত্যাশা করছেন ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে চাঁদপুরে ভবিষ্যতে আরো অনেক জনকল্যাণমুখী কাজ হবে। তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।