শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২১, ১০:২৮

চাঁদপুরের সেলিম মিয়া মৃত্যুর আগে পরিবারের কাছে ফিরতে চায়

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
চাঁদপুরের সেলিম মিয়া মৃত্যুর আগে পরিবারের কাছে ফিরতে চায়
পরিবারহারা সিরাজ মিয়া ৪০ বছর আগে ও পরে

অভিমান করে আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাড়ি থেকে যখন বেড়িয়ে যান তখন সেলিম মিয়ার বয়স ২০-২২ বছর। তৎকালীন ম্যাট্টিক পাস করা (বর্তমান এসএসসি) সেলিম মিয়া সবেমাত্র কৈশোর পেড়িয়ে যৌবনে পা রেখেছিলেন। পারিবারিক কলহে নিজের চাপা কষ্ট, ক্ষোভ আর অভিমানে কাউকে কিছু না বলে চাঁদপুর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সিলেটে।

সেই সেলিম মিয়া এখন ষাটার্ধ্ব বয়সের বৃদ্ধ। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় শত শত মৃত্যুর মিছিল দেখে আর বাঁচার আশা দেখছেন না তিনি। শারীরিক অসুস্থতায় বিছানায় পড়ে আছেন দীর্ঘদিন। নাওয়া নেই, খাওয়া নেই, সিলেটের জাফলংয়ে কোন এক ভাড়া বাসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন চাঁদপুরের এই অভিমানি মানুষটি। তবে মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছা চাঁদপুরের নিজ পরিবারকে একটি বার দেখার। বাবা-মা বা ভাই-বোন যারাই বেঁচে আছেন তাদের সাথে একটু কথা বলা। নিজের জন্মস্থানের শৈশবের বাড়িটি একটু খানি দেখা।

মোঃ সেলিম মিয়া ১৯৮০ কিংবা '৮১ সালে চাঁদপুর ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক (এসএসসি) পাস করেন। তার তৎকালীন সহকর্মীরা তাকে দেখেই চেনার কথা। সেলিম মিয়ার বাবা মৃত মোঃ আলকাছ আলী, দাদা মৃত শামছুল হক পাটওয়ারী, চাচা আব্দুর রাজ্জাক। ৫ ভাই বোনের মধ্যে সেলিমই সবার ছোট। বড় তিন ভাইয়ের নাম আব্দুল করিম, আব্দুর রহিম ও বিল্লাল। মায়ের নাম আর বড় বোনের নাম মনে করতে পারছেন না। তবে দু'জনের যে কোন একজনের নাম নাসিমা।

বিছানায় শয্যাশায়ী সেলিম মিয়া নিজের পোস্ট অফিস ফরাক্কাবাদ বলতে পারলেও ভুলে গেছেন নিজ গ্রামের নাম। জানালেন গ্রাম হয় গুরিশা নয় গুলিশা কিংবা ডাজদি। তবে জানিয়েছেন নিজ থানা ও জেলা দুটোই চাঁদপুর। পরিবারের আর কোন স্মৃতি আছে কি-না জানতে চাইলে সেলিম মিয়া বলেন, বড় বোনের বাড়ি দাস পাড়ায়। মেঝো ভাই আব্দুর করিম ইনকাম টেক্স অফিসে চাকরি করতেন। আর কিছু জানা নেই। ৪০ বছরের ব্যবধানে ভুলে গেছেন সবই।

এখন মৃত্যুর আগে সেলিম মিয়া সিলেট জাফলং থেকে তার পরিবারের কাছে ফিরতে চায়। প্রিয়জনদের এক নজড় দেখতে চায়। স্যোসাল মিডিয়ার কল্যানে কত জনইতো তার স্বজনের কাছে ফিরলো, আপন ঠিকানায় পৌঁছলো। সেলিম মিয়া কি পারবেন মৃত্যুর আগে তার পরিবারকে ফিরে পেতে?

সেলিম মিয়ার পরিবারের সন্ধান চেয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিলেট গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ করিম মাহমুদ লিমন। কেউ তার পরিবারের সন্ধান পেলে যোগাযোগ করুন চাঁদপুর কণ্ঠের ঠিকানায় অথবা ফোন করুন ০১৭১০৮০২৮৯৯ নম্বরটিতে। মানবিক এই কাজটিতে সকলে এগিয়ে আসলে মৃত্যুর পূর্বে সিরাজ মিয়ার মুখে হাসি ফোটানো অসম্ভব কিছু নয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়