প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৫:৩১
গণপরিবহণ বন্ধ : মাছের ড্রামে যাত্রী পারাপার
কঠোর বিধি নিষেধের প্রথম দিন রাজধানীসহ সারাদেশে জিরো টলারেন্সে ছিলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হওয়ায় যারা ঈদে গ্রামে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে যাদের জরুরী কাজ রয়েছে তারা ঢাকা ফিরেছেন ঈদের দিন বা তার পরদিনের মধ্যে। যারা আসতে পারেননি তারা ১৪ দিনের জন্য আটকা পড়েছে গ্রামে।
২৩ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ১০ যাত্রী পথিমধ্যে কোন পরিবহণ না পেয়ে অবশেষে মাছের পোনা বহণকারী ড্রামের ভিতরে লুকিয়ে ঢাকা আসার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ট্রাক চালকের এমন অফারটি ফেলতে পারেনি তারা। পুরো পথে যাত্রীদের ড্রামের ভিতরে ঢুকিয়ে উপরে ঢাকনা আটকিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা তার ভিতরে কুঁজো হয়ে বসে ছিলো।
মাছের ড্রাম বহণকারী ট্রাকটি গাজীপুর সিটি করপোরেশন অঞ্চলের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপোস্ট পার হতে পারলেও রাজেন্দ্রপুর পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হলে ট্রাকটিকে তল্লাশি করে মাছের ড্রামে লুকিয়ে থাকা যাত্রীদের বের করে আনা হয়। পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিষয়ে বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের এসি (উত্তর) মেহেদী হাসান জানান, লকাডাউন বাস্তবায়নে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। এমন সময় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি মাছের ট্রাক সন্দেহ হলে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। এ সময় ওই ট্রাকে মাছের ড্রামের ভেতর থেকে ১০ জন যাত্রীকে বের করে আনা হয়। পরে ড্রামের ভেতর থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও চালকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিয়ে ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে।
যাত্রীদের মধ্য থেকে আবুল খায়ের নামক এক ব্যক্তি জানান, ভাবছিলাম রাস্তায় টুকটাক গাড়ি চলবো। বের হইয়া দেখি কোন গাড়ি নাই। তাই ট্রাক চালকের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছি।
মনির হোসেন নামক অপর যাত্রী জানান আমাদের পুলিশ কেন আটকালো বুঝলাম না। আমরাতো নিরাপদ দূরুত্বে এক ড্রামে একজন যাচ্ছিলাম। ড্রামের ভিতর করোনা আসবে কোথা থেকে?