প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ১১:১৩
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে তিন প্রস্তাব জমা দিয়েছে পরামর্শক কমিটি
চলতি বছর কোন ভাবেই অটোপাশ দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কিন্তু করোনার লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই খোলা যাচ্ছে না সেখানে সরাসরি পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। বিশেষ করে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এমতাবস্থা কী হতে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যত তা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্তাব্যক্তিদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী।
|আরো খবর
ইতোমধ্যে জাতীয় পরীক্ষা পরামর্শক কমিটি গঠন করে কোন প্রকৃয়ায় হতে পারে দেশের বৃহত্তম দু'টি বোর্ড পরীক্ষা তা জানাতে বলা হয়েছে। মিটিংয়ের পূর্ব মূহুর্তে তা চূড়ান্ত করেছে জাতীয় পরীক্ষা পরামর্শক কমিটি। পরীক্ষা নেওয়া ও না নেওয়া উভয় বিষয় বিবেচনায় কমিটি তিনটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। যা আজকের ভার্চুয়াল সভায় মূল বিবেচ্য বিষয় হবে। সিদ্ধান্ত তিনটি হলো:
১। রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেওয়া।
২। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া। এ ক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা।
৩। ওপরের দুই প্রস্তাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাস অ্যাকটিভিটিসের নম্বর সমন্বয় করে ফল প্রস্তুত করা হতে পারে। এইচএসসির ক্ষেত্রে এসএসসির, জেএসসি এবং অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর সমন্বয় করে ফল প্রকাশ হতে পারে।
প্রস্তাবনা ১ ও ২ উভয় ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি প্রয়োজন। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলতে পারলে সরাসরি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই দুই প্রস্তাবের জন্য অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। আর অক্টোবর-নভেম্বরেও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে তৃতীয় প্রস্তাবনাকে বিবেচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শিক্ষা বিভাগের একাধিক সূত্র বলছে সরকার শেষ পর্যন্ত হয়তো তৃতীয় প্রস্তাবের দিকেই এগুবে যদিও এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরের পরই জানা যাবে।