প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১১:৪০
মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের ৬ষ্ঠ দিনে সাড়ে ৪ লাখ টাকার জাল জব্দ, ২৯ জেলের সাজা
গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী চলবে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার এ অভিযান। গতকাল ৯ অক্টোবর ছিল অভিযানের ৬ষ্ঠ দিন। এদিন পদ্মা-মেঘনার ২০টি অভিযান ও ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযান চালিয়ে ২৩,৪৮০ মিটার জাল আটক করা হয়। যার মূল্য হবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার অধিক। এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার ২৬ জন ও মতলব উত্তর উপজেলার ৩জনসহ মোট ২৯ জন অসাধু জেলেকে আটকপূর্বক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ৩টি মামলা করেছে বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়। এদিন চাঁদপুর সদরে ৯টি, হাইমচরে ৩টি, মতলব উত্তরে ২টি, মতলব দক্ষিণে ২টি, হাজীগঞ্জে ২টি ও ফরিদগঞ্জে ২টিসহ মোট ২০টি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালীন এসব স্থান থেকে ০.০২৫০০ মেঃ টন ইলিশ আটক করা হয়।
|আরো খবর
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিঠা পানিতে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই এ অভিযান শুরু। এ লক্ষ্যে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ইলিশের আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহণ করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অভিযানকালীন অসাধু মৎস্য শিকারীগণ থেমে নেই। তারা গোপনে নদীতে মাছ ধরা ও বিক্রি করে যাচ্ছে।
আর অভিযান সফল করতে কঠোর মনোভাব নিয়ে প্রতিদিনই নদী এবং মৎস্য আড়তে কঠোর অভিযান অব্যাহত রেখেছে টাস্কফোর্স সদস্যরা। এদিন সদর নৌ থানা পুলিশ আটককৃত ২১জন জেলের বিরুদ্ধে ১টি নিয়মিত মামলা করেন।
ছবি-৩০
শান্তির এই নোবেল বিশ্বের সব সাংবাদিকের : মারিয়া রেসা
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এই পুরস্কার বিশ্বের সব সাংবাদিককে উৎসর্গ করেছেন। শনিবার তিনি বলেছেন, শান্তির এই নোবেল পুরস্কার বিশ্বের সব সাংবাদিকের।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের কড়া সমালোচক মারিয়া রেসা ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রকৃত অর্থে এই পুরস্কার বিশ্বজুড়ে কাজ করা সব সাংবাদিকের। আমাদের অনেক ফ্রন্ট থেকে সাহায্য দরকার। আজকে সাংবাদিক হওয়া অনেক বেশি কঠিন এবং বিপজ্জনক।
শুক্রবার ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম র্যাপলারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গণমাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টা জারি রাখায় চলতি বছর শান্তির নোবেল পেয়েছেন ফিলিপাইন ও রাশিয়ার এ দুই সাংবাদিক।
সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান হিসেবে পরিচিত ফিলিপাইনের মতো দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়া এই সাংবাদিকের নোবেলপ্রাপ্তিকে ‘বিজয়’ হিসেবে প্রশংসা করেছেন দেশটির বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা।
২০১৬ সালে ফিলিপাইনের ক্ষমতায় দুতার্তে আসার পর রেসা এবং তার সংবাদমাধ্যম র্যাপলারকে ধারাবাহিক ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ, তদন্তের মুখোমুখি হওয়া ছাড়াও অনলাইনে আক্রমণের শিকার হতে হয়। প্রেসিডেন্ট দুতার্তে বরাবরই র্যাপলারকে ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ বলেছেন এবং রেসাকে নিয়ে দেশটিতে অনলাইনে মানহানিকর বার্তা ছড়ানো হয়।
৫৮ বছর বয়সী ফিলিপিনো এই সাংবাদিক বলেছেন, এই পুরস্কার তার নিজের এবং ফিলিপাইনের অন্যান্য সাংবাদিকদের শারীরিক আক্রমণ ও অনলাইন হুমকির বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশা করছেন। ‘তাদের বিরুদ্ধে আমরা’ ধারণাটি কখনোই সাংবাদিকদের সৃষ্টি ছিল না। এটি ছিল ক্ষমতায় থাকা মানুষদের সৃষ্টি; যারা সমাজকে বিভক্ত করে এমন এক ধরনের নেতৃত্ব ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
মারিয়া রেসা বলেন, আমি আশা করছি, এই পুরস্কার সাংবাদিকদের ভয় ছাড়াই ভালোভাবে কাজ করার প্রেরণা দেবে।