সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ১৫:৩৭

সঠিক তদারকির অভাব

জেলে নয় এমন অনেকে পাচ্ছেন জেলে-চাল

সোহাঈদ খান জিয়া
জেলে নয় এমন অনেকে পাচ্ছেন জেলে-চাল

জেলে নয়, তারপরও পাচ্ছেন জেলে-চাল। সঠিক তদারকির অভাবে হরিলুট হচ্ছে সরকারি চাল। জেলে না হয়েও জেলে- চাল নিয়ে থাকেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এমন অনিয়ম চঁাদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

জানা যায়, চঁাদপুর জেলার যে সকল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে জেলে চাল বিতরণ করা হয়, এদের মধ্যে বহু লোক জেলে না হয়েও জেলে-চাল পেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রকৃত অনেক জেলে চাল পাচ্ছে না। কিছু অসাধু ইউপি সদস্য অর্থের বিনিময়ে ভুয়া জেলে বানিয়ে চাল পাওয়ার জন্যে সহযোগিতা করে থাকেন। যেসব উপজেলার মধ্যে যে সকল ইউনিয়নে জেলেরা চাল পেয়ে থাকেন, এদের মধ্যে অনেক ইউনিয়নে শতকরা ৩০ জন জেলে না হয়েও জেলে চাল পেয়ে আসছেন। এদের মধ্যে জেলেবিহীন বিভিন্ন পেশার লোক রয়েছে। কেউ কৃষক, ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। যারা বছরে ১২ মাস জাল দিয়ে মাছ শিকার করে থাকেন, তাদের পাশাপাশি অবসর সময় যারা কারেন্ট জাল দিয়ে ১/২ মাস মাছ শিকার করে থাকেন তারাও জেলে-চালের তালিকায় রয়েছেন। কৃষক, ছোটখাটো ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রম বিক্রিকারীও জেলে তালিকায় রয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির অভাবে সরকারের দেয়া জেলে-চাল এভাবেই হরিলুট হচ্ছে।

সরজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে জানা যায়, সরকারের নির্দেশনায় প্রথমে যখন জেলে কার্ডের তালিকা শুরু হয়, তখন তালিকা প্রস্তুতকারীদেরকে জেলে নৌকা না দেখিয়ে এক জায়গায় বসিয়ে তালিকা তৈরি করে দেন ইউপি সদস্যরা। যার ফলে জেলে না হয়ে অনেকে জেলে-চাল পেয়ে আসছেন। আর এসব চাল পাওয়ার জন্যে ইউপি সদস্যরা সহযোগিতা করেছেন। ইউপি সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে জেলে কার্ড পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ইউপি সদস্য নিজের পছন্দের লোক ও ভোটার ঠিক রাখার জন্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেলে কার্ড পাওয়ার জন্যে সহযোগিতা করে থাকেন।

তালিকা প্রস্তুতকারীরা জেলে নৌকা দেখতে চাইলেও তাদেরকে বিভিন্ন কথা বলে জেলেদের নিকট না নিয়ে অধিকাংশ ইউপি সদস্য তালিকা তৈরি করে দেন। ভুয়া জেলে বানিয়ে সরকারি চাল হরিলুট করা হলেও কর্তৃপক্ষ সঠিক তদারকি করছে না।

মৎস্য বিভাগের লোকজন গ্রামে বা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে থাকেন। আর ইউপি সদস্যদের কথা অনুযায়ী তারা জেলে তালিকা তৈরি করাসহ যাচাই-বাছাই করে আসছে। মৎস্য বিভাগের লোকজন জেলেদের জাল, নৌকা যাচাই-বাছাই ও প্রকৃত জেলে যাচাই-বাছাই করার জন্যে নিজেরা গ্রামগঞ্জে ও বাড়ি বাড়ি যেতে দেখা যায় নি।

এ ব্যাপারে চঁাদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার নিকট এসব কে বলেছে? আপনি অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়