শাহরাস্তিতে লিফলেট বিতরণের সময় ৭ জনকে আটক করে পুলিশে দিলো বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা

শাহরাস্তিতে ব্যবসায়ীদের কাছে লিফলেট বিতরণকালে ৭ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বেলা সাড়ে ১২ টায় উপজেলার মেহের কালীবাড়ি বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাঝে ইনসানিয়াত বিপ্লব চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে লিফলেট বিতরণের সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আটক করে। তারপর পুলিশকে খবর দিলে শাহরাস্তি থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার কংশাই গ্রামের মাহমুদুল হাসান নয়ন (৩০), হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রফেসর পাড়ার মেহেদী হাসান সৈকত (২৭), দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের মনোয়ার হোসেন (২৬), টোরাগড় গ্রামের সিহাব হোসেন (২০), শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক গ্রামের মেহেদী হাসান (১৮), নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পরকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) ও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মুকসাইব গ্রামের হাসাইন মোহাম্মদ জিহাদ (২২)। বিকেলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যদের মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি মো. আবুল বাশার জানান, তাদের অনুমতি রয়েছে, জনরোষ থেকে বাঁচতে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ না পাওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

শাহরাস্তি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন ভুঁইয়া জানান, সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে আমরা ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে আসি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় মো. আবু হানিফ জানান, তারা সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ করার সময় আমরা তাদেরকে আটক করি। তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বি-টিম হিসেবে মাঠে নেমেছে। সমন্বয়ক আকতার হোসেন সিহাব জানান, তারা বিগত অবৈধ সরকারের সময় নিবন্ধন পেয়েছে এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এছাড়াও সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন, আব্দুর রহমান আরজু, আতাউর রহমান, আবু হায়দার, জহির হোসেন আটককৃতদের দৃষ্টান্তমূলক ‌ শাস্তি দাবি করেন।